চাঁপাইনবাবগঞ্জ উপ-নির্বাচন, শেষ মুহূর্তে নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন প্রার্থীরা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ উপ-নির্বাচন, শেষ মুহূর্তে নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন প্রার্থীরা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি :

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও ৩ আসনের উপনির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছে। শেষ মুহূর্তে প্রার্থীরা কর্মী-সমর্থকদের সাথে নিয়ে দিনরাত প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন, ভোটারদের দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। প্রার্থীদের এখন মূল লক্ষ্য ভোটারের কাছে যাওয়া, তাদের মন জয় করা। তারা সব শ্রেণির মানুষকে বুকে জড়িয়ে ধরছেন এবং মার্কা দেখিয়ে ভোট চাইছেন, ক্ষণিকের দেখায় আপন করার চেষ্টা করছেন তাদের।

আর নিজের ঘরের দুয়ারে প্রার্থীদের পেয়ে ভোটাররাও বেজায় খুশি, কথা বলছেন প্রাণ খুলে।  

এদিকে ভোটাররা ভাবছেন যিনি এ অঞ্চলকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাবেন, তাকেই ভোট দিবেন। ভোটের প্রচার-প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে এখন শহর থেকে গ্রামাঞ্চল। ভোটের মাঠে উষ্ণতা ছড়াচ্ছেন প্রার্থীরা।

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের প্রার্থী আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীকের মো. আব্দুল ওদুদ ও স্বতন্ত্র  প্রার্থী আপেল প্রতীকের সামিউল হক লিটন সকাল থেকেই গণসংযোগ আর পথসভায় অংশ নিচ্ছেন। ভোটারদের কাছে টানতে এলাকার উন্নয়নে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। তবে বিএনএফ’র প্রার্থী টেলিভিশন প্রতীকের কামরুজ্জামান খাঁনের প্রচারণা না থাকায় ভোটারদের আলোচনায় নেই তিনি।  

এদিকে নৌকা প্রতীকের মো. আব্দুল ওদুদ আজ রবিবার সকালে থেকে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত সমর্থকদের নিয়ে গণসংযোগের সময় জনগণের সাথে কুশলবিনিময় আর পথসভা চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনী পথসভা চলাকালে নেতা-কর্মীদের স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠছে পুরো এলাকা।  

এমপি নির্বাচিত হলে এ উপজেলার উন্নয়ন যেগুলো থেমে আছে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেগুলো করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তিনি। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আপেল প্রতীকের সামিউল হক লিটন তার এলাকার সমর্থকদের নিয়ে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে কুশলবিনিময় করছেন আর ভোটারদের কাছে উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন।  

অপরদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুহা. জিয়াউর রহমান ও আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী খুরশিদ আলম বাচ্চু দিনরাত এক করে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা ভোটারদের দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। তবে এই আসনের অন্য প্রার্থীদের প্রচারণা তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না। তাই ভোটাররা মনে করছেন এই আসনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সাথে বিদ্রোহী প্রার্থীর। তবে শেষ পর্যন্ত বিজয়ের মালা কার গলায় শোভা পাবে তা দেখার জন্য অপক্ষো করতে হবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

news24bd.tv/কামরুল