বুলগেরিয়ান এই সুন্দরী মহিলার নাম রুজা ইগনাটোভা। তার ব্রেন চলে জেট গতিতে। উচ্চশিক্ষিত, মেধাবী এই মহিলাই অপরাধ জগতের একমাত্র রানি যাঁর নাম উঠেছে এফবিআইয়ের প্রথম ১০ ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ অপরাধীর তালিকায়। এই মহিলাকে খুঁজে এফবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে পারলেই লক্ষ লক্ষ ডলার পুরস্কার পাওয়া যাবে।
জালিয়াতির অধ্যায়টি ২০১৪ সাল থেকে শুরু হয়েছিল যখন ইগনাটোভা তার নতুন কোম্পানি OneCoin-এর মাধ্যমে সারা বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে বিলিয়ন ডলার প্রতারণা করতে শুরু করেছিলেন।
জানা গেছে ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর ইগনাটোভা বুলগেরিয়ার সোফিয়া থেকে গ্রিসের এথেন্সে ভ্রমণ করেছিলেন এবং এর পরে অন্য কোথাও ভ্রমণ করেন। এফবিআই সার্কুলার অনুযায়ী, তিনি জার্মান পাসপোর্টে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বুলগেরিয়া, জার্মানি, রাশিয়া, গ্রীস অথবা পূর্ব ইউরোপে ভ্রমণ করতে পারেন। এফবিআই ওয়ান্টেড পোস্টারের নীচে একটি নোট লেখা রয়েছে, "ইগনাটোভা সশস্ত্র বডিগার্ড অথবা সহযোগীদের সাথে ভ্রমণ করে বলে বিশ্বাস। ইগনাটোভা হয়তো প্লাস্টিক সার্জারি করে তার চেহারা পরিবর্তন করেছেন। "
এফবিআই কর্তৃপক্ষের মতে, OneCoin ছিল একটি পিরামিড স্কিম যা লোকেদের প্রতারণা করে ৪ বিলিয়নেরও বেশি পকেটস্থ করেছিল কারণ ইগনাটোভা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগকারীদের রাজি করাতে সক্ষম হয়েছিল। কর্মকর্তারা বলেছেন যে OneCoin অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির মতো কোনও সুরক্ষিত, স্বাধীন ব্লকচেইন-টাইপ প্রযুক্তি দ্বারা সমর্থিত নয়। যা জানার পর মার্কিন কর্তৃপক্ষ ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে জালিয়াতি, অর্থ পাচারের ষড়যন্ত্রর অভিযোগ এনেছিল।
নিউইয়র্কের শীর্ষ প্রসিকিউটর, মার্কিন অ্যাটর্নি ড্যামিয়ান উইলিয়ামস গত মাসে এক বিবৃতিতে বলেছেন-''ইগনাটোভা এবং তার অংশীদাররা বিলিয়ন ডলার হাতিয়েছে। আসলে, ওয়ানকয়েনগুলি সম্পূর্ণ মূল্যহীন ছিল... মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ সংগ্রহের জন্য তাদের মিথ্যা প্রচারগুলি একটি লক্ষ্য নিয়ে সাজানো হয়েছিল। ''
১৯৮০ সালের ৩০ মে বুলগেরিয়ায় জন্ম তার। ছেলেবেলাতেই জার্মানি চলে আসেন তিনি। পড়াশোনায় দুর্দান্ত রুজা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে (Law) পিএইচডি করেন। চাকরি করতেন ম্যাকিনসেতে। ২০১৪ নাগাদ তিনি নিজের ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ানকয়েন নিয়ে বাজারে আসেন। তারপরেই যত গন্ডগোলের সূত্রপাত।
news24bd.tv/আলী