মানবাধিকার গোষ্ঠী ফোরটিফাই রাইটস এবং মিয়ানমারের ১৬ ব্যক্তি মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে একটি ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেছে। খবর ডয়চে ভেলে।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়েছে বলে ওই অভিযোগে বলা হয়েছে। বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী ওই ১৬ অভিযোগকারী মিয়ানমারের রোহিঙ্গা, প্রভাবশালী বর্মন এবং সংখ্যালঘু চিন সম্প্রদায়সহ বিভিন্ন জাতিগত গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।
আইনি মামলার নেতৃত্বদানকারী ফোরটিফাই রাইটসের ২১৫ পৃষ্ঠার দীর্ঘ অভিযোগপত্রে এক হাজারেরও বেশি মানুষের সাক্ষাৎকার রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ফাঁস হওয়া ফোন কলের রেকর্ড।
ফোরটিফাই রাইটস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অভিযোগকারীরা বলেছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী পরিকল্পিতভাবে হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, বন্দি, নিখোঁজ, নিপীড়ন, গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধের মতো কাজ করেছে।
মামলাটি জার্মানির ফেডারেল পাবলিক প্রসিকিউটর জেনারেলের অধীনে দায়ের করা হয়েছে।
ফোরটিফাই রাইটসের বোর্ডের সদস্য নিকি ডায়মন্ড বলেন, ‘আমরা জার্মানির ওপর আস্থা রাখি, তারা একটি তদন্ত শুরু করবে এবং মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ও তার নেতাদের দ্বারা সংঘটিত গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধের বিচার চাইবে। ’
জার্মানির ফেডারেল প্রসিকিউটর অফিস অভিযোগের বিষয়ে এখনই মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
news24bd.tv/আলী