ডলার সংকটেও নানান কৌশলে চলছে অর্থপাচার

সংগৃহীত ছবি

ডলার সংকটেও নানান কৌশলে চলছে অর্থপাচার

অনলাইন ডেস্ক

ডলার সংকটেও থেমে নেই অর্থপাচার। অভিযোগ উঠেছে বিলাসবহুল গাড়ি ও ফল আমদানির আড়ালে দেশ থেকে পাচার হচ্ছে বিপুল পরিমাণ টাকা। অনেক সময় মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে প্রকৃত মূল্যের চেয়ে কম মূল্য দেখিয়ে এ টাকা পাচার করেছেন অসাধু আমদানিকারকরা। অর্থনীতি বিশ্লেষক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, অসাধু এমন তৎপরতায় মোটা অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আওতাধীন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে চট্টগ্রাম ও মোংলা কাস্টম হাউস দিয়ে মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে আনা সাত থেকে আটটি চালানের কাগজপত্র জব্দ করেন গোয়েন্দারা।  

হিসাব বলছে, গত বছর দেশে আমদানি করা হয় প্রায় ২৫ হাজার গাড়ি। যার বিপরীতে গড়ে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ কম মূল্য ঘোষণা করে টাকা পাচারের অভিযোগ উঠেছে। শুল্ক গোয়েন্দার তদন্তে এমন ৩০ থেকে ৪০টি গাড়ি আমদানিতে টাকা পাচারের ঘটনা বেরিয়ে আসে।

অর্থপাচারের এমন সব ঘটনা ডলার সংকটের বড় কারণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ডলার সংকট মোকাবেলায় আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করা হলেও আন্ডার ও ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে ফল আমদানির বিপরীতেও থেমে নেই অর্থপাচার। ফল আমদানির তথ্য পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে ফল আমদানি বেড়েছে প্রায় ৯৭ শতাংশ।  

এনবিআরের হিসেবে ২০২২ সালে পাঁচ হাজার ১৭ কোটি টাকার ফল আমদানি করা হয়েছে, যা ২০২১ সালে ছিল দুই হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। অনেকেই বলছেন, আমদানির এমন অস্বাভাবিক বৃদ্ধি অর্থপাচারের ঈঙ্গিত; যা প্রতিরোধে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।

গবেষণা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান জিএফআই এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আন্ডার ও ওভার ইনভয়েসিংয়ের কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে বহির্বিশ্বের বছরে গড়ে ৭৫৩ কোটি ডলারের গরমিল রয়েছে। অর্থপাচার ঠেকানো গেলে চলমান ডলার সংকট সমাধান অনেকটা সহজ হয়ে আসবে বলে মত দেন বিশ্লেষকরা।

 news24bd.tv/ইস্রাফিল