শপথ নিলেন নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স

সংগৃহীত ছবি

শপথ নিলেন নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স

অনলাইন ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ক্রিস হিপকিন্স। দেশটির ৪১তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আজ বুধবার ওয়েলিংটনে শপথ নেন সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নের ঘনিষ্ঠ এই রাজনৈতিক মিত্র।

শপথ নিয়ে ক্রিস হিপকিন্স বলেছেন, ‘জীবনের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব পালন করতে চলেছি। কথা দিচ্ছি, সমস্ত দায়িত্ব সম্পূর্ণ গুরুত্ব দিয়ে পালন করার চেষ্টা করব।

নতুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কারমেল সেপুলোনি ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। প্যাসিফিক আইল্যান্ড থেকে এই প্রথম কেউ নিউজিল্যান্ড প্রশাসনে এত বড় পদ পেলেন।

গত সপ্তাহে আচমকা পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। নিজেকে নিউজিল্যান্ডের বহু দুঃসময়ের সাক্ষী জানিয়ে আরডার্ন বলেন, ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সন্ত্রাসী হামলা এবং করোনা মহামারী সামলাতে হয়েছে তাকে।

এবার কাজ থেকে অব্যাহতি দিয়ে নিজের কাজ এবং পরিবারের সঙ্গে থাকতে চান তিনি।

আরডার্ন সরকারের কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলার নেওয়া উদ্যোগে নেতৃত্ব দিয়ে মন্ত্রী হিসেবে নিজের একটি ভাবমূর্তি তৈরি করেছিলেন হিপকিন্স। সেই ভাবমূর্তিতে ভর করে এবার তিনি দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জায়গায় পৌঁছে গেলেন। দেশের পরবর্তী নেতা হওয়ার পথে গত রোববার ক্ষমতাসীন লেবার দলীয় ককাসের সর্বসম্মত সমর্থন পান হিপকিন্স, এবার আসছে অক্টোবরের সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতা ধরে রাখার কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নেতৃত্ব দিতে হবে তাকে।

মতামত জরিপগুলোতে দেখা গেছে, লেবার পার্টি জনপ্রিয়তায় রক্ষণশীল বিরোধীদল ন্যাশনাল পার্টির চেয়ে পিছিয়ে আছে।

কোভিড মহামারীর সময় নিউজিল্যান্ডই প্রথম দেশ যারা তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিল। এই পদক্ষেপের কারণে মহামারীর প্রথমদিকে ৫০ লাখ জনসংখ্যার দেশটি করোনাভাইরাস সংক্রমণ মুক্ত ছিল। তখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অরডার্ন সরকারের এ উদ্যোগ প্রশংসা কুড়িয়েছিল।

কিন্তু পরে মহামারী মোকাবেলায় সরকারের জিরো-টলারেন্স কৌশলে নিউজিল্যান্ডের জনগণ ক্লান্ত হয়ে পড়ে। একজনের সংক্রমণ শনাক্ত হলেও দেশজুড়ে দেওয়া লকডাউনে বিরক্ত হয়ে ওঠে তারা। এর পাশপাশি আবাসন সংকট, জীবনযাপনের বাড়ন্ত খরচ, বন্ধকি সুদের হারবৃদ্ধি এবং অপরাধ নিয়ে বাড়তে থাকা উদ্বেগের কারণে গত কয়েকমাস ধরে অরডার্ন সরকারের জনপ্রিয়তা কমতে থাকে, দল হিসেবে লেবার পার্টিও জনসমর্থন হারাতে থাকে।

সম্প্রতি হিপকিন্স স্বীকার করেছেন, আগেই কঠোর লকডাউনের পদক্ষেপ থেকে সরে আসা উচিত ছিল।

news24bd.tv/সাব্বির