‘পাঠান’ ঝড়ে বিধ্বস্ত কোলকাতা, বাঙালী নির্মাতাদের ক্ষোভ

সংগৃহীত ছবি

‘পাঠান’ ঝড়ে বিধ্বস্ত কোলকাতা, বাঙালী নির্মাতাদের ক্ষোভ

অনলাইন ডেস্ক

শাহরুখের ‘পাঠান’ -এ বিধ্বস্ত ভারত। এ হাওয়া গিয়ে লেগেছে কোলকাতায়ও। চার বছর পর কিং খানকে রূপালি পর্দায় দেখতে উন্মাদনা ছড়াচ্ছে রাজ্যজুড়ে। বুধবার সকাল থেকেই এর ফলে কলকাতাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করেও সামাল দেওয়া যায়নি যা।

পাঠান নিয়ে বিরূপ মন্তব্যও রয়েছে বেশ। এ নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন কোলকাতার অনেক নির্মাতা। পরিচালক ও অভিনেতা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের সাথে তাই সুর মিলিয়েছেন অনেকেই।

পাঠান দেখাতে কলকাতার হলগুলো থেকে বাংলা সিনেমা সরিয়ে নেওয়ায় ক্ষুব্ধ তারা।

ক্ষোভ প্রকাশ করে কৌশিক বলেন, করোনা মহামারিতে হল মালিক, এক্সিবিউটর, ডিস্ট্রিবিউটররা বসিয়ে বসিয়ে তাদের কর্মচারীদের বেতন দিয়েছেন। কাজেই স্বাভাবিকভাবেই এই ক্ষতির পরিমাণ পুষিয়ে নিতে তাদের হিন্দি ছবি চালাতেই হচ্ছে। তারা নিরুপায়।

তিনি বলেন, 'কিন্তু কার নির্দেশে পাঠানের জন্য কলকাতায় বাংলা সিনেমা সরিয়ে দেওয়া হলো। সম্প্রতি কয়েকটা বাংলা ছবি যথেষ্ট ব্যবসায়িক সফলতা দিচ্ছিল। ওদের সাহস হয় কী করে এ কথা বলার যে, আমাদের ছবি (পাঠান) চালাতেই হবে, এখন অন্য কোনো ছবি দেখানো যাবে না। নইলে ভবিষ্যতে আর কোনো ছবি দেব না। যার জেরে একপ্রকার অসহায় হয়ে হল মালিকরা পাঠান নিয়েছেন। '

কৌশিক বলেন, দেব-মিঠুনের প্রজাপতি'র মতো ছবি রমরমা ব্যবসা করছিল। সেটাকেও সরিয়ে ফেরা হলো শাহরুখের পাঠানের জন্য? কী অদ্ভুত তাই না? এমনটা শাহরুখ খান নিজেও চাইতেন না বলে মন্তব্য কৌশিকের।

বুধবার সকাল থেকেই পাঠান'কে কেন্দ্র করে তীব্র যানজটের কবলে পড়ে কোলকাতা শহর। দক্ষিণ কোলকাতার সিনেমা অঞ্চল হাজরা থেকে রাসবিহারী মোড় বিপর্যস্ত যান চলাচলে। শাহরুখ ফ্যানদের ভিড় সামলাতে সকাল থেকেই বাড়তি জনবল নিয়ে নামে কোলকাতা পুলিশ।

শহরের সিনেমা হলগুলোর মধ্যে মাল্টিপ্লেক্সগুলোয় পাঠান শুরু হয় স্থানীয় সময় সকাল ৭টারও আগে। কোথাও সকাল ৬.৪৫ মিনিটে, কোথাও ৬.৫০ এ। রাসবিহারী অঞ্চলের লেক মলের আইনক্সের কর্তৃপক্ষ বলেন, সাধারণত হলিউড ছবির ক্ষেত্রে আমরা সকাল ৭টায় শো দিই। কিন্তু হিন্দি ছবির ক্ষেত্রে অনেক বছর পর এত সকালে শো দেওয়া হল। তাও হাউজফুল।