‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজনীতি করবেন না, এমন মুচলেকা দেওয়া হয়েছে। তাঁর ভিত্তিতে তাঁকে বাসায় নেওয়া হয়েছে। ’ বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এমন দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
শেখ সেলিম বলেন, ‘ খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়ার জন্য তাঁর ভাই ও বোন প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘মুচলেকা দিয়েছে, আর সে ১০ তারিখে (১০ ডিসেম্বর) এসে ক্ষমতা দখল করবে।
বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখার কঠোর সমালোচনা করেন শেখ সেলিম। তিনি বলেন, ‘সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক জিয়া লন্ডনে বসে বলতেছে, বাংলাদেশ মেরামত করতে চায়। আরে আগে তো তোর (তারেক) মেরামত করা দরকার। তুমি পারলে বাংলাদেশে আসো। তুমি যদি বাংলাদেশে আসো, তাহলে জনগণ তোমাকে কীভাবে মেরামত করবে, অধীর আগ্রহে তোমার জন্য বসে আছে। কিন্তু আসবে না, ও কোনো দিন বাংলাদেশে আসবে না। ’
শেখ সেলিম বলেন, ‘তারেক রহমান ২০০৭ সালে রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে বিদেশে গেছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তার ৩০ বছর সাজা হয়েছে। মানি লন্ডারিং মামলায় সাত বছর সাজা হয়েছে। তারেক জিয়া কখনোই ঢাকায় আসবে না। ঢাকায় আসলে তাকে জেলে যেতে হবে। জেলে গেলে রাজনীতি তো দূরের কথা, কখনো নির্বাচনই করতে পারবে না। ’
তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন ধরে দেখা যাচ্ছে রাজনীতির ব্যাপারে কিছু কূটনীতিক তোড়জোড় করছে। কারও কারও বাড়িতেও গিয়ে হাজির হচ্ছে। একি আশ্চর্য! এ দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে কূটনীতিকদের হস্তক্ষেপ করার কোনো অধিকার নেই। কারও প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ চলবে না। বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি হলে সেটা দেখার জন্য দেশের জনগণই যথেষ্ট।
শেখ সেলিম বলেন, ‘আমাদের রাজনীতি নিয়ে কূটনীতিকদের হস্তক্ষেপ করা এবং দায়িত্বহীন কথা। আমরা কি তাদের দেশের রাজনীতি নিয়ে কোনো কথা বলি? আমরা তাদের নির্বাচন নিয়ে কথা বলি? আমেরিকার নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে বলেছিল, আমরা কি সেখানে গিয়ে বলেছি আসো আমরা সালিস করি। কিছুদিন আগে মালয়েশিয়ায় নির্বাচন নিয়ে একই অভিযোগ উঠেছিল। ওখানে কি আমরা হস্তক্ষেপ করেছি?’
news24bd.tv/ইস্রাফিল