নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে সরকারি চার ব্যাংকে লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) বা ঋণপত্র খোলার নির্দেশনা দেওয়া আছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের একথা বলেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে সরকারি চারটি ব্যাংকে এলসি খুলতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ব্যবসার ক্ষেত্রে ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো টাকা পাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, গত কয়েকমাস ধরে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিয়েছে। এর মূল কারণ হিসেবে দেশে ডলার সংকটের কথা বলে আসছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যাংকগুলোও বিভিন্ন সময় ডলার সংক্রান্ত লেনদেনের ক্ষেত্রে ধীরগতি দেখাচ্ছেন। ব্যাংকগুলো বন্ধ রেখেছে ঋণপত্র খোলার কাজও। গত ১১ ডিসেম্বর পবিত্র রমজান সামনে রেখে আটটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে নগদ মার্জিনের হার ন্যুনতম পর্যায়ে রাখার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা, চিনি ও খেজুরের মূল্য সহনীয় পর্যায় রাখাসহ পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
এর আগে ৪ ডিসেম্বর রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমদানিতে সর্বোচ্চ সহায়তা দিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি। বৈঠকে বলা হয়, অর্থ পাচার রোধে অপ্রয়োজনীয় পণ্যের এলসি বন্ধ রাখা হয়েছে। আর রোজার সময় কোনো পণ্যের যাতে ঘাটতি না হয় এবং মূল্য স্থিতিশীল থাকে সে জন্য তেল, চিনি, ডাল ও ছোলার এলসি খুলতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।