ন্যাটোর জন্যই ইউক্রেন যুদ্ধ: পুতিন মিত্র

সংগৃহীত ছবি

ন্যাটোর জন্যই ইউক্রেন যুদ্ধ: পুতিন মিত্র

অনলাইন ডেস্ক

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ৩৩৮ দিনে গড়িয়েছে। এরই মধ্যে রাশিয়াকে অত্যাধুনিক ট্যাংক দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ। এই ট্যাংক সরবরাহ প্রমাণ করছে, যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয়দের সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। রাশিয়ার এক বিশ্লেষক থেকে এই অভিযোগ করা হয়েছে।

এমনকি ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহকারী দেশগুলো সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি থেকে ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক ট্যাংক দেওয়ার ঘোষণার পরই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র সার্গেই কারাগানোভ থেকে এই মন্তব্য এলো।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের জন্য ন্যাটোকে দুষছেন এই পুতিন মিত্র। তিনি বলেছেন, ‘এটা আসলে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নয়।

এটি মূলত রাশিয়া ও পশ্চিমাদের যুদ্ধ। ইউক্রেনীয়রা শুধুমাত্র দেখানোর জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে, নেতৃত্ব আসছে তাদের থেকে। ট্যাংক পাঠিয়ে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো বিষয়টি পরিষ্কার করে দিয়েছে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘ন্যাটোর শুরু থেকেই পশ্চিমারা রাশিয়াকে আক্রমণ করতে উন্মুখ হয়ে ছিল। এভাবেই কেটে যায় ২৫ বছর। তবে রাশিয়া প্রথম প্রকাশ্যে আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ’

পশ্চিমাদের অস্ত্র সহায়তার পরও কারাগানোভের মতে, এই যুদ্ধ রাশিয়াই জিতবে। তিনি বলেন, ‘অবশেষে, রাশিয়া ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে ধ্বংস করবে ও দেশটিকে সম্পূর্ণরূপে সামরিক মুক্ত করবে। সেখানে নব্য-নাৎসি শাসনের অবসান হবে। ’

এদিকে, ট্যাংক পাঠানোর জেরে বৃহস্পতিবার মস্কোর মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘ইউক্রেনে ট্যাংক ও অস্ত্র পাঠিয়েছে ইউরোপীয় রাজধানী ও ওয়াশিংটন। এর মাধ্যমে যুদ্ধে জড়িত থাকার বিষয়টি পরিষ্কার করেছে তারা। তারা জোট করছে এমনটা মানতে নারাজ আমরা। তাদেরকে সরাসরি সংঘাতে জড়িত শত্রু হিসেবে ধরা হচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, তা বাড়ছে। ’

সূত্র: আল-জাজিরা

news24bd.tv/মামুন