মোংলা বন্দর পশুর চ্যানেলে সুন্দরবনের হারবাড়িয়া এলাকায় বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে ৫০০ মেট্রিক টন এমওপি সার নিয়ে শাহজালাল এক্সপ্রেস-২ নামের লাইটার জাহাজটি ডুবে যাওয়ার ঘটনায় চালক ওবায়দুর রহমানের গাফিলতি পেয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষের গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি। তদন্ত প্রতিবেদনে ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজটির চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। রোববারের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে জানিয়েছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দর চ্যানেলে সার বোঝাই লাইটার জাহাজ ডুবির পরপরই মোংলা বন্দর কর্তৃপেক্ষের গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহাদাৎ হোসেনসহ অপর দুই সদস্য বন্দরের পাইলট ফারুক আহম্মেদ ও মেরিন বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. রিয়াদ খাঁন ঘটন্থাল পরির্দশন করে দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে বলেছেন,
‘দুর্ঘটনার সময় ঘন কুয়াশা ছিল।
মোংলা বন্দরের কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনার পরপরই ডেপুটি হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহাদাৎ হোসেনের নেতৃত্বে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি দল ডুবে যাওয়া লাইটর জাহাজটিতে মারকিং বয়া স্থাপন করে রাখেছে। বন্দরের মূল চ্যানেলের বাইরে দুর্ঘটনায় লাইটার জাহাজ ডুবলেও বন্দরের পশুর চ্যানেল ঝঁকিমুক্ত থাকায় বন্দরের জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজটি বন্দর
চ্যানেল থেকে উঠিয়ে নিতে মালিক পক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটি ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজটির সার্ভে সনদ ও রেজিষ্ট্রেশন সব ঠিক আছে উল্লেখ করেছে।
এদিকে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে মোংলা বন্দর চ্যানেলে সারবোঝাই লাইটার জাহাজ ডুবে যাওয়ার ফলে ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইপ এই বনের জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছেন সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজের জ্বালানি তেল ও সার পানিতে মিশে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ পরিবেশ দূষণ করবে।
একই সঙ্গে বারবার লাইটার জাহাজ ডুবির ফলে মোংলা বন্দর চ্যানেলে নাব্যতা সংকট দেখা দিচ্ছে।
news24bd.tv/তৌহিদ