ময়মনসিংহে যুবলীগ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ২

ময়মনসিংহে যুবলীগ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ২

৩২ জনকে আসামি করে মামলা

সৈয়দ নোমান, ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহে মহানগর যুবলীগ ও মহাগর ছাত্রলীগের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এসময় দুজন গুলিবিদ্ধ হয়। তারা হচ্ছেন- শাকিল (২৫) ও রিমন হাসান (২৬)। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে নগরীর বাউন্ডারী রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে এ ঘটনায় যুবলীগ নেতাসহ ৩২ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

এই ঘটনায় মহানগর যুবলীগের সদস্য শামীমসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে মহানগর ছাত্রলীগ নেতা শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে ১২ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা ২০ জনকে আসামি করে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা করেন।

কোতোয়ালী মডেল থানার (ওসি) তদন্ত ফারুক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মহানগর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রাসেল পাঠান গ্রুপ এবং মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক নওশেল আহম্মেদ অনি গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহত দুজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম জানান, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনকে জরুরি বিভাগে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাহাদের হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহতরা হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।

মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক নওশেল আহম্মেদ অনি সংঘর্ষের ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমার সাথে বা মহানগর ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মীর সঙ্গে কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই।

অপরদিকে মহানগর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রাসেল পাঠান বলেন, মহানগর যুবলীগ নেতা জয়ের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দরবার হবার কথা ছিল। এসব বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছিল। এসময় মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক অনি ৫০ থেকে ৬০ জনকে নিয়ে এসে জয়ের উপর হামলা করে। পরে আমাদের ১০০ থেকে ১৫০ জন তাদের ধাওয়া করে ও পাথর মারে। কিন্তু গোলাগুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি।

কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) ফারুক হোসেন বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন আছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিত স্বাভাবিক থাকলেও উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ’

news24bd.tv/তৌহিদ

এই রকম আরও টপিক