কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমি মার্টিনেজের পারফর্মেন্স ছিলো চোখজুড়ানো। পুরো ম্যাচে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের থেকে মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ে ছিলেন অনেক এগিয়ে। পেনাল্টি কিকে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের নানাভাবে বিভ্রান্ত করেছেন তিনি। যার ফলও মিলেছে।
দ্য সানের প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী মার্চে লন্ডনে ফিফার বোর্ড মিটিং রয়েছে। সেখানে লিখিতভাবে পেনাল্টির নিয়মে পরিবর্তন আনা হতে পারে। সান জানিয়েছে, ফিফার বৈঠকে গোলরক্ষকদের অশোভন আচরণ নিয়ে আলোচনা হবে। কিপাররা যেন পেনাল্টি টেকারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা না করে, সেটি নিশ্চিত করা হবে।
বিশ্বকাপ ফাইনালের টাইব্রেকারে ফ্রান্সের হয়ে দ্বিতীয় শট নিতে আসেন কিংসলে কোম্যান। ফরাসি তারকার মনোযোগ নষ্ট করার চেষ্টা করেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। রেফারির সঙ্গে কথা চালিয়ে যান তিনি। বারবার বলতে থাকেন, বল ঠিক জায়গায় বসানো হচ্ছে কি না, তা যেন রেফারি লক্ষ্য রাখেন। মার্টিনেজের মূল লক্ষ্য ছিল কোম্যানকে নার্ভাস করে দেয়া। আর তিনি সফলও হন। স্পটকিকে ব্যর্থ হন কিংসলে কোম্যান।
এরপর পেনাল্টি নিতে আসেন অরলিয়েন চুয়ামেনি। ফরাসি মিডফিল্ডারকে মনোযোগচ্যুত করতে স্লেজিং শুরু করেন এমি মার্টিনেজ। চুয়ামেনির হাতে না দিয়ে পাশে ছুঁড়ে মারেন বল। এবারও মাইন্ড গেমে সফল মার্টিনেজ। লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন চুয়ামেনি। ২০২১ সালে কোপা আমেরিকায় কলম্বিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালের ম্যাচেও একই পন্থা অবলম্বন করেছিলেন এমি। এমনকি প্রিমিয়ার লীগে অ্যাস্টন ভিলার গোলবার অক্ষত রাখতেও প্রতিপক্ষের পেনাল্টি টেকারকে স্লেজিং করেন তিনি।
শুধু কি এমি মার্টিনেজ? ২০১৪ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের টাইব্রেকারে মাইন্ড গেম খেলেন নেদারল্যান্ডসের বদলি নামা গোলরক্ষক টিম ক্রুল। সফলও হন তিনি। ৪-৩ ব্যবধানে কোস্টারিকাকে হারিয়ে সেমিতে পৌঁছে যায় ডাচরা। সম্প্রতি প্রিমিয়ার লীগের এক ম্যাচে চেলসি গোলরক্ষক কেপা আরিজাবালাগা এমনটি করেন। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড হুলিয়ান আলভারেজ পেনাল্টি শট নিতে গেলে তার কাছে এসে কথা বলতে থাকেন আরিজাবালাগা। যদিও বিভ্রান্ত হননি আলভারেজ। নিখুঁত শটে পান জালের দেখা।
news24bd/আজিজ