বাইডেনের নোটবুক জব্দ করেছে এফবিআই

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (ছবি:সংগৃহীত)

বাইডেনের নোটবুক জব্দ করেছে এফবিআই

অনলাইন ডেস্ক

মার্কিন জো বাইডেনের ডেলওয়ারের উইলমিংটনের বাড়ি থেকে তিন দফায় সরকারি গোপন নথির হদিস মিলেছে। সর্বশেষ গত ২০ জানুয়ারি বাইডেনের বাড়িতে ছয় নথি পায় মার্কিন বিচার বিভাগের (ডিওজি) তদন্তকারীরা। ঠিক সেই সময়েই বাইডেনের বাড়ি থেকে তার একটি নোটবুক জব্দ করে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ে নোটবুকটি লিখেছিলেন বাইডেন।

ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত একজন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর এনবিসির।

ওই সূত্র জানায়, নোটবুকের কয়েকটি পাতায় ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ের কিছু দাপ্তরিক ও ব্যবসার কথা লিখেছেন বাইডেন। এমনকি ওবামা শাসনামলের কূটনৈতিক ইস্যু ও কিছু গোপন তথ্য নিয়েও লেখা ছিল।

ওই ব্যক্তি আরও বলেন, ‘নোটবুকটিকে গোপন নথি হিসেবে চিহ্নিত না করা হলেও এটির পাতায় লেখা কিছু তথ্য খুবই স্পর্শকাতর ছিল। নোটবুকে ব্যক্তিগত ও দাপ্তরিক অনেক কিছুই লিখেছেন প্রেসিডেন্ট। ’
 
বাইডেনের বিরুদ্ধে হওয়া তদন্ত কমিটির একজন বলেন, ‘নোটবুকের বেশিরভাগ পাতায় তেমন কোনো সরকারি বা গোপনীয় তথ্য ছিল না। তবে প্রেসিডেন্সিয়াল রেকর্ডস অ্যাক্ট অনুযায়ী, তথ্যগুলো সরকারি সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। কারণ, ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ে তিনি এটি লিখেছিলেন ও অফিসিয়াল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ’

নোটবুকটি বেশ বড় ছিল বলে জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। তবে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি।

এ বিষয়ে বাইডেনের আইনজীবী বব বাউয়ারের মুখপাত্র বলেন, ‘বিষয়টি বিচার বিভাগের হাতে রয়েছে। তাদেরকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে। যেহেতু বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এখন এ নিয়ে কথা না বলা উত্তম। ’

নোটবুকটি নিয়ে বিচার বিভাগ ও এফবিআইয়ের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলেও তারা এ নিয়ে মুখ খোলেননি।

গত নভেম্বরে পেন বাইডেন সেন্টারে প্রথম দফায় ১০টি নথি পাওয়া গিয়েছিল। আর ডিসেম্বরের শেষের দিকে বাইডেনের ডেলওয়ারের বাড়ির গ্যারেজে এক পৃষ্ঠার একটি নথি পাওয়া যায়। চলতি মাসের মাঝামাঝির দিকে ডেলওয়ারের বাড়িতে বাইডেনের ব্যক্তিগত লাইব্রেরি থেকে পাঁচ পৃষ্ঠার নথি পাওয়া যায়। এরপর গত শুক্রবার সেই বাড়িতেই আরও ছয় নথির হদিস মিলে।  

১৯৭৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত জো বাইডেন যখন ডেলওয়ারের সিনেটর ছিলেন, সে সময়কার কিছু নথি রয়েছে। এ ছাড়া যখন তিনি ওবামা প্রশাসনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখনকার কিছু নথি রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নথিগুলো সাধারণত তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়। কনফিডেন্সিয়াল, সিক্রেট এবং টপ সিক্রেট। কোনো ‘টপ সিক্রেট’ নথি ফাঁস হলে তা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের ‘মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে’। রাষ্ট্রীয় গোপন নথিতে বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে সীমিত সংখ্যক মানুষের প্রবেশগম্যতা রয়েছে। এগুলো কীভাবে রাখতে এবং সংরক্ষণ করতে হবে সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল রেকর্ডস অ্যাক্ট অনুযায়ী, কোনো সরকারের মেয়াদ শেষ বা ক্ষমতা হারালে গোপন নথিগুলো জাতীয় আর্কাইভে রাখা হবে। তবে ট্রাম্পের মতো বাইডেনও গোপন নথিগুলো নিজের কাছে সংরক্ষণ করেছেন।

news24bd.tv/মামুন