প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ দমন, মাদক নির্মূল এবং চোরাচালান রোধে পুলিশের ভূমিকা বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করেছে।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। রোববার (২৯ জানুয়ারি) সারদায় ৩৮তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের প্রশিক্ষণের সফল সমাপ্তি উপলক্ষে তিনি এই বাণী দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুলিশ দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করছে।
পুলিশ বাহিনীর আধুনিকায়নে সরকারের নেওয়া নানান পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশে জনবল বৃদ্ধি, নতুন নতুন ইউনিট গঠন, ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন, আধুনিক যানবাহন ও লজিস্টিক সুবিধা বৃদ্ধি, সর্বাধুনিক প্রশিক্ষণ সুবিধা নিশ্চিতকরণ, পুলিশ সদস্যদের সার্বিক কল্যাণের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট ও ব্যাংক গঠন, আবাসন ও চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রভৃতি ক্ষেত্রে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশকে একটি আধুনিক, যুগোপযোগী, দক্ষ ও জনবান্ধব সার্ভিসে পরিণত করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, টুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, অ্যান্টি টেররিজম ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটসহ বেশ কয়েকটি রেঞ্জ, মেট্রোপলিটন ইউনিট, সাইবার পুলিশ সেন্টার, ব্যাটালিয়ন, ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার থানা, তদন্ত কেন্দ্র, ফাঁড়ি এবং জাতীয় জরুরি সেবায় ৯৯৯ ইউনিট গঠন করেছি।
সরকারপ্রধান বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের সাহসী সদস্যরা উল্লেখযোগ্য প্রশংসনীয় অবদান রাখছেন। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় পুলিশ সদস্যরা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে জনসেবার ক্ষেত্রে নজিরবিহীন ভূমিকা রেখেছে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হৃদয়ে ধারণ করে নবীন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী নবীন পুলিশ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।
news24bd.tv/কামরুল