চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি অ্যালকোহল (মদ) বিক্রি করে রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আয় করেছে। চিনি উৎপাদনে মিলটি প্রতিবছর লোকসান গুনলেও মদ বিক্রি করে শত কোটি টাকা আয় করছে।
প্রতিষ্ঠানটি চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ২৩২ কোটি ৯৬ লাখ টাকার মদ বিক্রি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২১ শতাংশ বেশি।
কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশারফ হোসেন জানান, মদ উৎপাদনের প্রধান উপকরণ চিটাগুড়।
তিনি বলেন, কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ইতিহাসে চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে রেকর্ড পরিমাণ বাংলা ও বিলেতি মদ উৎপাদন করেছে।
কেরুর ডিস্টিলারি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই থেকে ডিসেম্বর) বাংলা ও বিলেতি মদ বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানটি আয় করেছে ২৩২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আয় হয়েছিল ১৯২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বেশি।
প্রতি মাসে প্রায় ২১ হাজার কেসেরও বেশি অ্যালকোহল বিক্রি করছে কেরু। প্রতিষ্ঠানটি ১৭৫ মিলিলিটার, ৩৭৫ মিলিলিটার ও ৭৫০ মিলিলিটারের বোতলে বিলেতি মদ বাজারজাত করে। প্রতিটি কেসে ৭৫০ মিলিলিটারের ১২টি, ৩৭৫ মিলিলিটারের ২৪টি এবং ১৭৫ মিলিলিটারের ৪৮টি করে প্লাস্টিকের বোতল থাকে।
কেরুর ডিস্টিলারিতে সেমিঅটোমেশন পদ্ধতিতে মদ উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ চলছে। কক্সবাজার ও কুয়াকাটায় নতুন দুটি বিক্রয়কেন্দ্র অল্পদিনে চালু হচ্ছে। দেশে প্রতিষ্ঠানটির ১৩টি ওয়্যারহাউজ ও তিনটি বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে।
১৯৩৮ সালে চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড গড়ে ওঠে। রবার্ট কেরু নামে ব্রিটিশ নাগরিক ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করেন মিলটি। দেশ স্বাধীনের পর বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন মিলটি পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সমস্যা আর সম্ভাবনার মধ্যে দিয়ে মিলের কার্যক্রম চলছে। ডিস্টিলারি বিভাগ ছাড়া বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির সব ইউনিটে প্রতি বছর প্রায় ৭০-৮০ কোটি টাকা লোকসান গুনতে হয়।
news24bd.tv/কামরুল