ফিনিস্তিনিদের প্রতি 'দ্রুত কঠোর' পদক্ষেপের ঘোষণা নেতানিয়াহুর

সংগৃহীত ছবি

ফিনিস্তিনিদের প্রতি 'দ্রুত কঠোর' পদক্ষেপের ঘোষণা নেতানিয়াহুর

অনলাইন ডেস্ক

পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের গুলিতে ৯ ফিলিস্তিনি নিহতের ঘটনায় ক্রমশই উত্তেজনা বাড়ছে সেখানে। এর জেরে শুক্রবার পশ্চিম জেরুজালেমে বন্দুক হামলা চালিয়েছে এক কিশোর। এতে প্রাণ হারিয়েছে সাত জন।

এ ঘটনায় 'দ্রুত কঠোর' পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।

ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের একমত করে তিনি এ ঘোষণা দেন।  

আলজাজিরার কূটনৈতিক সম্পাদক জেমস বেইস জানিয়েছেন, এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় পদক্ষেপ গ্রহণে ইতিমধ্যে একমত হয়েছে ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিষদ। তিনি আরও জানান, দুইটি পদক্ষেপ নিতে পারে ইসরায়েল।  

প্রথমত হামলাকারীর পরিবার ও বন্ধুদের গ্রেপ্তার করতে পারে।

তাদের বাড়িঘর ভেঙে দিতে পারে এবং জেরুজালেমে তাদের বসবাসের অনুমতি তুলে নিতে পারে।  

দ্বিতীয়ত, ইসরায়েলি বসতিদের বন্দুক বহনের অনুমতি দেয়া আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। ইতিমধ্যে যেসব ইসরায়েলিদের বন্দুক বহনের অনুমতি আছে তাদের বন্দুক সাথে রাখতে উৎসাহিত করছে ইসরায়েল সরকার। এছাড়া পশ্চিম জেরুজালেমে বিপুল পরিমাণ সেনা মোতায়েন করছে।  

ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী মন্ত্রী বেন গাভির ইসরায়েলি নাগরিকদের হাতে আরও অস্ত্র দেয়ার আহ্বান জানিয়ছেন। বেন গাভির ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী। ফিলিস্তিনিদের প্রতি বর্ণবাদী আচরণে বিতর্কিত এই উগ্র ডানপন্থী নেতা।  

আলজাজিরার সিনিয়র রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারোয়ান বিসারা বলেন, ইসরায়েলিদের আরও অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে একটি সাম্পদায়িক সংঘর্ষের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এতে সংঘর্ষ আরও বাড়বে। ইসরায়েলের চরমপন্থী বেসামরিকদের হাতে হাতে অস্ত্র রয়েছে। তাদের আরও অস্ত্র দেয়ার মাধ্যমে সংঘর্ষ আরও বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।  

পশ্চিম জেরুজালেমে হামলা চালানো ২১ বছর বয়সী যুবকের নাম খাইরি আলকাম। তার বাবা জানান, খাইরির সঙ্গে কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠীর যোগাযোগ ছিল না। খাইরি আলকামের দাদাকে ১৯৯৮ সালে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে দখলদার এক ইসরায়েলি।  

news24bd/আজিজ