চ্যাটজিপিটি'তে ঝুঁকছে শিক্ষার্থীরা, শিক্ষকদের দুশ্চিন্তা

সংগৃহীত ছবি

চ্যাটজিপিটি'তে ঝুঁকছে শিক্ষার্থীরা, শিক্ষকদের দুশ্চিন্তা

অনলাইন ডেস্ক

শক্তিশালী আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স চ্যাটজিপিটি'তে ঝুঁকছে শিক্ষার্থীরা। অ্যাসাইনমেন্টসহ পড়াশোনা সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে তারা সাহায্য নিচ্ছে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার। তবে শিক্ষার্থীদের মনে অদূর ভবিষ্যতে এর একটা বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষকরা।

সম্প্রতি স্টাডি ডট কমের এক জরিপে উঠে এসেছে বিস্ময়কর সব তথ্য।

সেখানে বলা হয়, শিক্ষার্থীরা এডুকেশন সিস্টেমের শর্টকাট হিসেবে এসব আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করছে। অ্যাসাইনমেন্ট সহ নানা একাডেমিক কার্যকলাপে এই প্ল্যাটফর্মের সংগত ব্যবহার সম্ভব হচ্ছে না।

জরিপে ১৮ বছরের বেশি বয়সী এক হাজার শিক্ষার্থীর উপর গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে। শিক্ষার্থীদের তারা ওপেন এআই এর চ্যাট জিপিটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে প্রশ্ন করে।

জরিপের ফলাফল সবার কাছে বিস্ময়কর মনে হয়েছে।

জরিপে অংশ নেয়াদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ উত্তরদাতারা বলেছেন, তারা টেস্ট এবং কুইজ এর ক্ষেত্রে চ্যাট জিপিটিরর সহায়তা নিয়ে থাকে। তাদের গুরুত্বপূর্ণ কোন আর্টিকেল এর দরকার হলে খুব সহজে চ্যাট জিপিটির মাধ্যমে তা আদায় করে নিয়েছে। তাছাড়া স্টাডি সংক্রান্ত নানা পরিকল্পনা এবং সহায়তার জন্য এ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করছে শিক্ষার্থীরা।

তবে শিক্ষকসহ সচেতন সমাজের একাংশের আশঙ্কা, এ ধরনের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ভবিষ্যতে আরও উন্নত ও শক্তিশালী হলে এর একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে সমাজে। শিক্ষার্থীরা তাদের মস্তিষ্কের কাজ কমিয়ে দিয়ে এসকল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দিকে ঝুঁকছে। তারা সৃষ্টিশীল চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে আসছে।

অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে শিক্ষকরাও এখন বেশ চিন্তিত। ওয়েস্টার্ন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির ইতিহাসের অধ্যাপক জোহান জানিয়েছেন যে, একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম যদি প্রবন্ধ লিখতে পারে তাহলে শিক্ষার্থীদের স্কিলের কোন উন্নতি ঘটবে না।