জাতিগত নিধনের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হতে পারে মিয়ানমারের। গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতের এক রায়ের পরে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করা ও বিচারের পথ সুগম হয়েছে।
রাখাইনে রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের এখতিয়ার হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) আছে বলে বৃহস্পতিবার আইসিসির তিন বিচারপতির এক প্যানেল সিদ্ধান্ত দিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
এ রায়ের ফলে মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক এই আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে আইসিসির কৌঁসুলি ফাতোও বেনসুদার মামলা করার পথ খুলল। যদিও মামলা করবেন কি না- এমন প্রশ্নে রয়টার্সের প্রতিবেদককে পাঠানো মেসেজে তিনি বলেন, আমি এখন এ বিষয়ে কোনো কথা বলব না।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর 'জাতিগত নিধন অভিযানে' হত্যা-ধর্ষণ-নির্যাতনের মুখে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে লাখ লাখ রোহিঙ্গা। মানবতাবিরোধী এ অপরাধের বিচারের এখতিয়ার আইসিসির আছে কিনা- জানতে চেয়ে এপ্রিলে আবেদন করেছিলেন ফাতোও বেনসুদা।
এদিকে একই দিন মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর গণহত্যার অভিযোগ জাতিসংঘে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট। এর সঙ্গে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবিও জানাবেন তিনি। এ মাসেই বসছে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন। সেই অধিবেশনেই বিষয়টি উত্থাপন করবেন হান্ট। খবর বার্তা এএফপির।
এমপিদের উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যে আকারেই হোক, যেখানেই হোক, জাতি নিধনকারীরা কখনোই শাস্তির বাইরে যেতে পারে না। আর এই নিন্দনীয় অপরাধের জন্য যারা দায়ী, তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে। তিনি এও বলেছেন, এসব দোষী ব্যক্তিদের বিচারের কাঠগড়ায় আনা হবে একটি লম্বা ও কঠিন কাজ। এক্ষেত্রে তাদের যদি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের মুখোমুখি করতে হয়, তাহলে দাবি আসতে হবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ থেকে।
আরও পড়ুন: অান্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা
জেরেমি হান্ট বলেন, কিন্তু এ মুহূর্তে এমন বিচারের জন্য নিরাপত্তা পরিষদ থেকে সবাই একমত হবেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবু আমরা অপরাধীদের বিচারের আওতায় না আনা পর্যন্ত আমাদের অবস্থান থেকে সরে যাব না।
এ মাসের শেষের দিকে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন শুরু হলে তিনি মন্ত্রীদের একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক আহ্বান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
