প্রেমে পড়া থেকে শুরু করে শারীরিক সম্পর্ক, সার্বিকভাবে সামাজিক হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে অক্সিটিসিন হরমোন, যা সাধারণত ‘লাভ হরমোন’ নামে পরিচিত। বিগত ৩০ বছর ধরে এমনই ধারণা প্রচলিত ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক লাভ হরমোন নিয়ে নতুন তথ্য খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যার মাধ্যমে অক্সিটোসিন হরমোনের লাভ হরমোন নামকরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ইঁদুরজাতীয় প্রাণী প্যারি ভোলের ওপর পরিচালিত ওই গবেষণায় দেখা গেছে, অক্সিটোসিন হরমোনের কার্যকারিতা কম থাকলেও প্রাণীগুলো নিজের জোড় তৈরি করতে পেরেছে। সন্তান জন্ম ও লালন–পালনেও নেতিবাচক কোনো প্রভাব পড়েনি।
প্যারি ভোল স্তন্যপায়ী প্রাণী। সঙ্গীর সঙ্গে জীবনযাপন ও সামাজিক আচরণবিষয়ক গবেষণা এসব প্রাণীর ওপর পরিচালিত হয়।
এর আগের গবেষণায় এসব প্রাণীকে অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসরণ বন্ধের জন্য ওষুধ দেওয়া হয়। সে সময় দেখা গেছে, প্রাণীগুলো আর জোড়া তৈরি করতে পারছে না। সন্তানদের বুকের দুধ পান করাতে পারছে না মা।
মনোচিকিৎসক দেবানন্দ মানোলি ও স্নায়ু জীববিজ্ঞানী নিরাও শাহ অক্সিটোসিন হরমোনের ওপর কাজ না করে ভোলগুলোর জিনগত পরিবর্তন করেন। এরপর পরিবর্তিত পুরুষ ও নারী ভোলের আচরণ পর্যবেক্ষণ করেন।
সান ফ্রান্সিসকোতে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার সহকারী অধ্যাপক মানোলি বলেন, তাদের কাছে এটি খুবই বিস্ময়কর মনে হয়েছে। গবেষণার ফলাফলে মনে হয়েছে, জোড় বাঁধা বা সন্তান লালন–পালনের ক্ষেত্রে অক্সিটোসিন হরমোনই প্রধান নয়।
news24bd.tv/আলী