সেনাবাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে কেএনএফ সদস্য নিহত

সংগৃহীত ছবি

সেনাবাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে কেএনএফ সদস্য নিহত

অনলাইন ডেস্ক

বান্দরবানের রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নে সেনাবাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে লালঠাং জুয়াল বম (৩২) নামের পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) এক সদস্য নিহত হয়েছেন।  

আজ রোববার দুপুরে পাইন্দু ইউনিয়নের মুনওয়ামপাড়া থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে রুমা থানা পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশি বন্দুকসহ ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত জুয়াল উপজেলার আরথাপাড়ার ওয়াংকলিয়াং বমের ছেলে।

এদিকে গোলাগুলিতে আতঙ্কিত হয়েছে সাত পাড়ার প্রায় ২৫০টি পরিবার।

পাইন্দু ইউপি চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা বলেন, মুয়ালপিপাড়া, হ্যাপিহিলপাড়া, বাসতলাংপাড়া, মুনওয়ামপাড়া, সানাক্রপাড়া, ক্যকতাইংপাড়া, ছান্দলাপাড়ার লোকজন অভিযোগ করতেন- কেএনএফ সদস্যরা পাড়ায় এসে প্রায়ই উৎপাত করে। বিষয়টি তাঁরা প্রশাসনকে জানান।  

গত শনিবার সেনাবাহিনী কেএনএফের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।

এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কেএনএফের সদস্যদের গোলাগুলি ঘটে। দু'দিন ধরে টানা গোলাগুলির কারণে আত্মরক্ষার জন্য পাড়াবাসী ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। কিন্তু জঙ্গলও নিরাপদ মনে না করায় মুয়ালপি মারমাপাড়ার ৪৫টি পরিবার এখন রুমা বাজারে এসে মারমা ওয়েলফেয়ার ক্লাবঘরে আশ্রয় নিয়েছে। আজ ওই এলাকার আরও ছয় পাড়ার পরিবারের চলে আসার কথা।

বিষয়টি নিয়ে রুমার ইউএনও মামুন শিবলী বলেন, দু'দিন ধরে পাইন্দু ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পাহাড়ে সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করায় কেএনএফ সদস্যরা কয়েকটি দুর্গম পাড়ায় আশ্রয় নেয়। এসব পাড়ার ভেতর থেকেই তারা সেনাসদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এর ফলে নিরীহ গ্রামবাসী আতঙ্কে প্রথমে বন ও ঝিরিতে পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে শনিবার সন্ধ্যায় মুয়ালপিপাড়ার মারমারা রুমা বাজারে এসে আশ্রয় নেয়।

ইউএনও জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করে পরিবারগুলোকে রাখা হয়েছে মারমা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের হলরুমে। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের খাবার, কম্বল ও বিছানার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, নিহত কেএনএফ সদস্যের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

news24bd.tv/কামরুল