ক্রিকেট ক্যারিয়ারটা প্রায় দুই যুগের। ১৯৯ সালে অভিষেকের পর থেকে পাকিস্তানের জার্সি গায়ে খেলেছেন ২৮৭ ওয়ানডে, ১২৪ টি২০ এবং ৩৫ টেস্ট। তবে জাতীয় দল ছাপিয়ে শোয়েব মালিক বেশি খ্যাত বিশ্বজুড়ে টি২০ খেলিয়ে বেরানোয়। বর্তমানে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) খেলতে মালিক আছেন বাংলাদেশের সিলেটে।
আজ রোববার সিলেটে রংপুর রাইডার্সের হয়ে অনুশীলনের ফাঁকে গণমাধ্যমের সামনে ধরা দেন অভিজ্ঞতায় স্বয়ংসম্পূর্ণ এই ক্রিকেটার। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বাংলাদেশে অনেকবার এসেছেন। বিপিএল খেলার সুবাদে বেশ কাছ থেকেই দেখেছেন অনেককিছু।
শোয়েবের বাংলাদেশ বেশ পছন্দই। এখানকার খাবার-দাবারও পছন্দ তার। কিন্তু সমস্যা একটাই, যানজট। তিনি বলছিলেন, ‘আমি বাংলাদেশের মানুষকে ভালোবাসি, এখানকার লোকজন ভালোবাসতে জানে। তারা মাঠে আসে, দলকে সমর্থন দেয়। বাংলাদেশের খাবার ভালোবাসি, মাছ পছন্দ করি। এমনকি এখানকার খেলোয়াড়রাও ভালোবাসতে জানে। তারা তাদের খেলায় উন্নতি করতে চায়। এটা একটা পুরো প্যাকেজ যখন বাংলাদেশে আসি। একটা জিনিসই খারাপ, যানজট। ’
বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়েও এদিন কথা বলেছেন মালিক। এ দেশের ক্রিকেট অনেক বদলে গেছে বলে মত তার। মালিক বলেন, ‘আমার মনে হয় অনেক কিছুই বদলে গেছে। এখন বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটারকেই পৃথিবীজুড়ে চেনে। এমনকি তারা সুযোগও পাচ্ছে দুনিয়াজুড়ে, যেখানেই লিগ হচ্ছে। ঘরের মাঠে তাদের সফল হওয়ার রেকর্ড অসাধারণ। একটা জায়গায় তারা উন্নতি করতে পারে- সেটা হচ্ছে যখন দেশের বাইরে খেলে। কিন্তু যদি প্রতিভার দিকে তাকাই, আছে। এখন শুধু তাদের ধারাবাহিকভাবে সুযোগ দিতে হবে যেন তারা খেলায় উন্নতি করতে পারে। ’
বিপিএল নিয়ে অনেকের অনেক প্রশ্ন থাকলেও মালিক বলছেন, এই টুর্নামেন্ট অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। বিশেষ করে ব্যাটারদের জন্য। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটের মান খুব প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, বিশেষত ব্যাটারদের জন্য। এখানে আপনি ব্যাটিংয়ের জন্য মানানসই পিচ পাবেন না। ’
এর জন্য ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনের কথা জানালেন মালিক, ‘আপনি যদি চট্টগ্রামে যান সেখানে আলাদা (কন্ডিশন), সিলেটে আলাদা, ঢাকায় আলাদা। আমার মনে হয়, যেখানেই যাবেন আলাদা কন্ডিশন পাবেন প্লেয়ার হিসেবে। যখন আলাদা ভেন্যুতে ভিন্ন কন্ডিশনে পাবেন, তখন খেলোয়াড় হিসেবে উন্নতিতে সাহায্য করবে। হয়তো এজন্যই এখানে আসতেই পছন্দ করি। ’
news24bd.tv/সাব্বির
