এবার মিত্রদের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র চায় ইউক্রেন

সংগৃহীত ছবি

এবার মিত্রদের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র চায় ইউক্রেন

অনলাইন ডেস্ক

রুশ বাহিনীকে রুখতে বেশ আগে থেকেই পশ্চিমা মিত্রদের কাছে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র চাইছিল ইউক্রেন। এই দাবি নিয়ে মিত্রদের সঙ্গে কিয়েভের আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক।

গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, পশ্চিমা মিত্রদের কাছে কাঙ্ক্ষিত ট্যাংকের প্রতিশ্রুতি মেলার পর ইউক্রেন এবার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র চায়।

ইউক্রেনের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে মিখাইলো পোদোলিয়াক  শনিবার বলেছেন, যুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর মূল অস্ত্র হলো কামান।

বর্তমানে এটা ব্যবহার করেই তারা মূল যুদ্ধক্ষেত্রে হামলা চালাচ্ছে। রাশিয়ার এই অস্ত্রের ব্যবহার কমাতে চাইলে ইউক্রেনের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োজন। ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে তাদের কামান ও গোলাবারুদের সংরক্ষণাগারগুলো ধ্বংস করা যাবে।

ক্রিমিয়ায় রুশ বাহিনীর ১০০টির বেশি এ ধরনের সংরক্ষণাগার আছে উল্লেখ করে মিখাইলো পোদোলিয়াক বলেন, তাই প্রথমত বলতে গেলে ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে আলোচনা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।

দ্বিতীয়ত, এই আলোচনা খুবই দ্রুত গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলের ব্লাহোদাতনে গ্রাম দখলের দাবি করেছে রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাদল ওয়ানগার গ্রুপ। তবে এই দাবি নাকচ করে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী গতকাল রোববার বলেছে, ওই গ্রামে রুশ হামলা ঠেকিয়ে দিয়েছে তারা।

ওয়াগনার গ্রুপকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংস্থা হিসেবে তকমা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত শনিবার বার্তা আদান–প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে ব্লাহোদাতনে গ্রাম দখলে দাবি করে তারা। পরে এ নিয়ে নিয়মিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেন জানায়, শনিবার দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। তবে ব্লাহোদাতনের বিভিন্ন এলাকায় ‘দখলদারদের’ হামলা ঠেকিয়ে দিয়েছেন তাদের সেনারা। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি এই বয়ানের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।

news24bd.tv/আইএএম