খুলনাকে হারিয়ে সবার আগে প্লে-অফে সিলেট

সংগৃহীত ছবি

খুলনাকে হারিয়ে সবার আগে প্লে-অফে সিলেট

অনলাইন ডেস্ক

খুলনা টাইগার্সকে হারিয়ে চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্লে-অফ নিশ্চিত করলো সিলেট স্ট্রাইকার্স। আজ সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে খুলনাকে ৩১ রানে হারিয়েছে সিলেট। এ জয়ে ১০ ম্যাচ শেষে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে মাশরাফির দল লিগ টেবিলের শীর্ষস্থান পোক্ত তো করলোই, সঙ্গে সবার আগে নিশ্চিত করলো আসরের প্লে-অফ পর্ব।

বিপিএলের প্রতি আসরেই সিলেট ধুঁকবে এ যেন জানা কথা।

এই টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত মাত্র একবারই প্লে অফ খেলে দলটি। সেটাও ২০১৩ সালে। তবে এবার মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বে আসরের শুরু থেকেই দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলছিল সিলেট। দলটি তো প্রথম পাঁচ ম্যাচ জিতেই প্লে-অফের দৌড়ে অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছিল।
আজ খুলনাকে হারিয়ে সেই দৌড় পূরণ করলো মাশরাফি বাহিনী।

সিলেটের দেওয়া ১৯৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে খুলনার রানের চাকা থেমেছে ১৬১ রানে। অথচ পাওয়ার প্লেতে দুই উইকেট হারানোর পরও খুলনা ভালোই জবাব দিচ্ছিল।  অ্যান্ড্রু বালবার্নি ৭ এবং তামিম ইকবাল ১২ রান করে রুবেল হোসেনের শিকার হওয়ার পর শাই হোপ এবং মাহমুদুল হাসান জয় টানছিলেন দলকে। হোপ অবশ্য আশা জাগিয়ে ফিরে যান ২২ বলে ৩৩ রান করে। তাকে ফেরান রেজাউর রহমান রাজা।

উইকেটের একপ্রান্তে জয় ধরে খেললেও রান তোলায় বড্ড তাড়া ছিল আজম খানের। মাঠে এসেই বাউন্ডারির পসরা সাজিয়ে বসেন তিনি। তবে জয় ২১ বলে ২০ রান করে ফেরার কিছুক্ষণ বাদে আজম খানও তার পথ ধরেন। যাওয়ার আগে ১৭ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন এই পাকিস্তানি উইকেটরক্ষক।

আজম খান ফেরার পরই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় খুলনা। দলটির হার আরও নিশ্চিত হয় অধিনায়ক ইয়াসির আলী রাব্বি ৪ এবং মার্ক দেয়াল ৩ রান করে ফিরলে। ইয়াসিরকে ফেরান রাজা। দেয়ালকে শিকার করেন রুবেল। শেষদিকে, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এবং নাসুম আহমেদের সমান ১৩ রান খুলনার হারের ব্যবধান কমায়।

বড় স্কোর গড়লেও সিলেট আজ  টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট হারায়।  ইন-ফর্ম শান্ত ফেরেন ১২ বলে ৬ রান করে। এরপর ১১৪ রানের বিশাল জুটি গড়েন তৌহিদ হৃদয় এবং জাকির হাসান। জাকিরের প্রথমদিকে রান তুলতে বেশ কষ্ট হচ্ছিল, তবে তৌহিদ শুরু থেকেই খেলছিলেন দারুণ। ৩৪ বলে আসরের চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন তিনি।

 

তৌহিদের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের পথেই হাঁটছিল সিলেট। তবে ১৬তম ওভারে নাহিদ রানাকে এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ইয়াসির আলী রাব্বির তালুবন্দী হন তিনি। ৪৯ বলে দেড় শ’র বেশি স্ট্রাইকরেটে ৭৪ রান করেন তিনি।

তৌহিদ ফেরার পর দ্রুতই ফেরেন জাকিরও। তবে সাজঘরে ফেরার আগে ফিফটি তুলে নেন ওই ওভারেই নাহিদকে ডিপ স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি তুলে নেন তিনি। ৩৬ বলে ফিফটি করেন জাকির। তবে পরের ওভারেই নাহিদুল ইসলামের বলে সামনে এগিয়ে মারতে গিয়ে বোল্ড হন জাকির। ৫৩ রান করে ফেরেন তিনি।

তৌহিদ-জাকির ফেরার পর রান তোলার গতি কমে আসে সিলেটের। এর মধ্যেই মুশফিকুর রহিম ফেরেন ৭ বলে ৭ রান করে। দেয়ালের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তবে মুশফিক ফিরতেই সিলেটের রান তোলায় আবার গতি আসে থিসারা পেরেরা এবং রায়ান বার্লের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে। ৭ বলে ১৭ রান করেন পেরেরা। বার্ল অপরাজিত থাকেন ১১ বলে ২১ রান করে।

news24bd.tv/সাব্বির