ছাত্রলীগ নেতাকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ায় চবি উপাচার্য কার্যালয়ে ভাঙচুর

সংগৃহীত ছবি

ছাত্রলীগ নেতাকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ায় চবি উপাচার্য কার্যালয়ে ভাঙচুর

অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) এক ছাত্রলীগ নেতাকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ায় উপাচার্যের দপ্তর ভাঙচুর করেছে ছাত্রলীগের একটি অংশের নেতাকর্মীরা। শাটল ট্রেনও অবরোধ করে রাখা হয়। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় এ ঘটনা ঘটে।  

শিক্ষক প্রার্থী রাইয়ান আহমেদ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪১তম সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সিন্ডিকেট কক্ষে চলে সেই সভা। এতে মেরিন সায়েন্স বিভাগে ৬ জন শিক্ষক নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়।  

তবে, মেরিন সায়েন্স বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে রাইয়ান আহমেদ চবি শাখা ছাত্রলীগের পছন্দের প্রার্থী ছিল।

তাকে নিয়োগ না দেওয়ার অভিযোগ এনে 'একাকারের' ১৫-২০ জন নেতাকর্মী বিকেলে উপাচার্য দপ্তর ভাঙচুর করেন।

এ সময় প্রবেশপথে বেশ কয়েকটি ফুলের টব ভাঙচুর করা হয়। দপ্তরের একটি কক্ষে কাঁচের প্লেট-বাটি, চেয়ার ইত্যাদি ভাঙচুর করা হয়েছে।

ভাঙচুরের অভিযোগ স্বীকার করে চবি শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মঈনুল ইসলাম বলেন, সিন্ডিকেট সভায় রাইয়ান আহমেদকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। অথচ রাইয়ান আহমেদ ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদকের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। তার চেয়ে কম যোগ্যতাসম্পন্নদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সিন্ডিকেট।  

এমন কি বিভিন্ন সময় যারা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, তাদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন ছাত্রলীগের এ নেতা।  

মঈনুল ইসলাম অভিযোগ করেন, বিএনপি ও জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ছাত্রলীগ করে আসা প্রার্থীদের বাদ দেওয়া হয়েছে। তাই সংগঠনের কর্মীরা সিন্ডিকেট সভা চলাকালে ভাঙচুর করেছে।  

এ বিষয়ে জানতে চবি উপাচার্য অধ্যাপক শিরীণ আখতার এবং প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়ার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।  

তবে সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, মেরিন সায়েন্স শিক্ষক নিয়োগের নির্বাচনী বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে যোগ্যদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।  

এদিকে, উপাচার্য কার্যালয়ে ভাঙচুরের পর শাটল ট্রেনের চাবি ছিনিয়ে নেয় ছাত্রলীগের উপগ্রুপ একাকারের কর্মীরা। এ কারণে বিকেল সাড়ে ৫টার শাটল ট্রেন ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যায়নি।  

শাটল ট্রেন অবরোধের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সহসভাপতি মঈনুল ইসলাম বলেন, বিএনপি-জামায়াতপন্থী ও সরকার বিরোধীদের নিয়োগ দেওয়ার প্রতিবাদে কর্মীরা শাটল ট্রেন অবরোধ করেছে। দাবি না মানা পর্যন্ত অবরোধ চলবে।

news24bd.tv/হারুন