জামায়াত নিবন্ধন বাতিল: আপিল শুনানি ২ মাস পর

ফাইল ছবি

জামায়াত নিবন্ধন বাতিল: আপিল শুনানি ২ মাস পর

অনলাইন ডেস্ক

রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন বাতিলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আপিল চূড়ান্ত শুনানির জন্য প্রস্তুত করতে দুই মাস সময় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন।  

রিট আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর বলেন, আদালত তাদের অনেকবার সময় দিয়েছেন। আজ চূড়ান্ত আদেশ দিয়েছেন।

যদি আট সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সার সংক্ষেপ জমা না দেন তাহলে খারিজ হয়ে যাবে।

তবে জামায়াতের আইনজীবী মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, আদালতের আদেশ অনুসারে মামলার শুনানিতে জামায়াতে ইসলামী অংশ নেবে। আশা করি জামায়াত নিবন্ধন ফিরে পাবে। আর দুই মাসের মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ প্রস্তুত করতে পারব।

আমাদের প্রধান আইনজীবী সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। এ ছাড়া ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক ও এহসান সিদ্দিক আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত আছেন।

রায় ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুহসীন রশিদ বলেন, আদালত রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেছেন। ফলে দলটির নিবন্ধন বাতিল হয়ে গেছে। দলটির প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ নিয়ে আর কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। হাইকোর্টে নিবন্ধন বাতিল করে রায় দেওয়ার পর জামায়াতের পক্ষ থেকে আপিল আবেদন করা হয়েছে। তবে এখনও আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি।

এর আগে ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছিল। দলটির নিবন্ধন নম্বর ছিল ১৪। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব মাওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে এক রিট পিটিশন দায়ের করেন। কয়েক দফা শুনানির পর হাইকোর্ট ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। তবে তখন ইসি থেকে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। পরে ২৯ অক্টোবর ২০১৮ সালে গেজেট হয়।

news24bd.tv/হারুন