শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের উখিয়া-টেকনাফের শিবিরে আনা হচ্ছে

সংগৃহীত ছবি

শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের উখিয়া-টেকনাফের শিবিরে আনা হচ্ছে

অনলাইন ডেস্ক

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘আরসা’ ও ‘আরএসও’র মধ্যে সংঘাতের জেরে শূন্যরেখার ক্যাম্প থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের গণনার কাজ শেষ হয়েছে।

ওখানকার ৫০৭ পরিবারে ২ হাজার ৮৮৯ জন রোহিঙ্গা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি (আইসিআরসি) ও সরকারের নির্দেশে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ গণনার কাজ পরিচালনা করেন।

গত ১৮ জানুয়ারি নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা শিবিরে মিয়ানমারের দুই সন্ত্রাসীগোষ্ঠির মধ্যে গোলাগুলি-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হামিদ উল্লাহ নামের এক রোহিঙ্গা নিহত এবং দুজন আহত হয়েছেন।

 এ সময় শূন্যরেখার বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের বসতঘর পুড়ে গেলে শিবির থেকে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে ঢুকে তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আশেপাশে তাবু টাঙিয়ে আশ্রয় নেন রোহিঙ্গারা। পরে ইউনিয়ন পরিষদের তত্ত্বাবধানে গত রোববার থেকে ৮ জন গণনাকারীর মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের গণনার কাজ শুরু হয়, যা সোমবার শেষ হয় বলে জানান চেয়ারম্যান।  

অন্যদিকে এসব রোহিঙ্গাকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, শূন্যরেখার রোহিঙ্গাদের অনেকের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে নিবন্ধন রয়েছে।

ওদের স্ব-স্ব ক্যাম্পে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দ্রুত সময়ের মধ্যে এ কাজ শেষ করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এর জন্য জাতীয় ভাবে একটি কমিটিও করা হয়েছে। ওই কমিটি এ কাজ করছে। ‘যারা কোনো ক্যাম্পে নিবন্ধিত নন, তাদের কুতুপালং রেহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন ট্রানজিট ক্যাম্পে রাখা হবে। এছাড়াও গণনা করা রোহিঙ্গাদের মধ্যে কোনো চিহ্নিত অপরাধি বা মামলায় অভিযুক্ত এমন কেউ থাকলে তাদের ব্যাপারে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। ’ বলেন মিজানুর রহমান।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) রোমেন শর্মা জানান, সবেমাত্র গণনার কাজ শেষ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মতে তাদের অন্যত্র সরানোর কাজ বাস্তবায়ন করা হবে। তবে পরিবেশ সুরক্ষা ও এবং তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে দ্রুত সরানোর কাজ বাস্তবায়নের পরিকল্পনার কথা জানান ইউএনও।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে আশ্রয় নেন ৮ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এ সময় ঘুমধুম শূন্যরেখায় অবস্থান নেন প্রায় সাত রোহিঙ্গা নারী পুরুষ ও শিশু। এছাড়াও বর্তমানে কক্সবাজারের উখিয়া টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয় শিবির ও নোয়াখালীর ভাসানচরে অবস্থান করছে অনন্ত ১২ লাখ রোহিঙ্গা।

news24bd.tv/আজিজ