চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সঙ্গে যে উপায়ে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকবে বাংলাদেশের

সংগৃহীত ছবি

চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সঙ্গে যে উপায়ে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকবে বাংলাদেশের

নাহিদ হোসেন

চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সঙ্গে একতালে ভারসাম্যপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখা বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ। তবে ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণে এই দায়িত্ব শুধু ঢাকার নয়, বন্ধুরাষ্ট্রগুলোরও। এমন মত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, হাল পৃথিবীতে অর্থনীতি যেকোনো দ্বিপাক্ষিক কিংবা বহুপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি।

তাই রাজনৈতিক হিসাব-নিকাষে কেউই নিজ রাষ্ট্রের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না। তাই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রারও মূল অবলম্বন হওয়া উচিত অর্থনৈতিক বিকাশ।  

চলতি বছর ঢাকার কূটনৈতিক কার্যক্রমের শুরুটাই হয়েছে হাইভোল্টেজ ভিজিট দিয়ে। জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সফরের এক সপ্তাহের মাথায় ঢাকা আসেন দক্ষিণ ও মধ্যএশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু।

এর মাঝেই হঠাৎ টেকনিক্যাল স্টপওভারে ঘণ্টাখানেকের জন্য ঢাকায় নামের চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি আসবেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব। কূটনৈতিক সম্পর্কের বাতাবরণে এই তিন দেশই গুরুত্ব রাখে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী বা অংশীদার হিসেবে।

চীন, যুক্তরাষ্ট্র দ্বৈরথ যখন সর্বজনবিদিত তখন ঢাকার সামনে চ্যালেঞ্জ হলো বেইজিং আর ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব নীতিতে অটল থেকে, তা যে খানিকটা কঠিন সে কথা স্বীকার করছেন খোদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের অনেক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুললেও নিজেদের লাভের জন্যই সুসম্পর্ক জিইয়ে রাখবে মার্কিনিরা। অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগী হিসাবে একই পথে থাকবে চীনও।

করোনা আর ইউক্রেন রাশিয়া পরবর্তী বিশ্বব্যবস্থায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কলেবর যাই হোক না কেন বহুপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে হাল জমানায় অর্থনীতিই সম্পর্কের ভিত্তি।

চারিদিকে সীমান্ত অংশীদারিত্ব আর ঐতিহাসিক সম্পর্কের ফলে যৌথ স্বার্থ বিবেচনায় সুসম্পর্কের ছেদ পড়বে না দিল্লি ঢাকার রসায়নেও। তাই বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জ হলেও তার দায় এবং দায়িত্ব সম্মিলিতভাবে বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর ওপরও বর্তায় বলে মনে করেন সাবেক কয়েকজন কূটনীতিক।

news24bd.tv/ইস্রাফিল