'আমার এতো ভোট গেল কই'?

ফাইল ছবি

'আমার এতো ভোট গেল কই'?

অনলাইন ডেস্ক

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম উপজেলা) ও বগুড়া-৬ (সদর উপজেলা) আসনের উপনির্বাচনে হেরেছেন নানা কারণে বিভিন্ন সময়ে আলোচিত-সমালোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। বগুড়া-৪ আসনে ফলাফলে হিরো আলম ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে মশাল প্রতীকের কাছে হেরেছেন। তবে বগুড়া-৬ আসনে তিনি ৫ হাজার ২৭৪ ভোট পেয়েছেন।

ওই দুইটি আসনের উপনির্বাচনে ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে  ফলাফল প্রত্যাখ্যানও করেন আলম।

তার ভাষ্য, ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু দেখেছি। কিন্তু ফলাফলের জায়গায় গণ্ডগোল করেছে; ভোটের ফলাফল পাল্টে দিয়েছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘সবাই বলেছেন আপনি পাস করেছেন। ভোটাররাও ভোট দিয়েছেন।

আমার এতো ভোট গেল কই?'

নির্বাচনে পরাজয়ের পর বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদরের এরুলিয়ায় তার নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম এসব অভিযোগ করেন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, 'ফলাফল ঘোষণা হওয়ার আগেই আওয়ামী লীগের লোকজন বলছে, মশাল জিতে গেছে; এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বাকি। ... আওয়ামী লীগের লোকজনও আমাকে ভোট দিয়েছেন। দল নয় আমাকে ভালোবেসে ভোট দিয়েছেন। ওই ভোটগুলো গেল কই? এই ফলাফল আমি মানি না। ' 

আলোচিত ইউটিউবার বলেন, 'এসব অনিয়মের বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ দেইনি। তবে ফলাফলের বিরুদ্ধে আদালতে যাব। ১০টি কেন্দ্রের ভোট গণনা বাদ দিয়েই ফলাফল দিয়েছে প্রশাসন। এই কেন্দ্রগুলো কতোগুলোতে ভোট পাইলাম তা জানানো হলো না আমাকে। '

আশরাফুল আলম বলেন, 'কিছু কিছু শিক্ষিত লোক আমাকে মেনে নিতে চায় না। তারা ভাবে আমি পাস করলে দেশের সম্মান যাবে, অনেকের সম্মান যাবে। অফিসারদের লজ্জা যে হিরো আলমকে স্যার বলে সম্বোধন করতে হবে। আমাকে জিততে দেওয়া হয়নি। '

আশরাফুল আলম আরও অভিযোগ করে বলেন, 'মহাজোটের মশাল মার্কা কোনো কেন্দ্রে ৫০০ ভোট পেলে আমি ২৮ ভোট পাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। শহরের মধ্যে আমি একটু আশঙ্কায় ছিলাম। এই কারণে বাসায় সংবাদ সম্মেলন করছি। '

news24bd.tv/রিমু