চলতি মৌসুম শুরুর আগে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ছেড়ে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবে নাম লিখিয়েছিলেন মোহাম্মদ জুয়েল। তবে মৌসুম শুরুর তিনমাস পরেও শেখ জামালের হয়ে মাঠে নামা হয়নি ২১ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের। মাঠে নামবেনই বা কিভাবে! দুই মাস ধরে যে ক্লাবেই ফিরছেন না তিনি। ক্লাব কর্তৃপক্ষদের কাছে একপ্রকার নিখোঁজ হয়ে আছেন এই ফুটবলার।

একাধিকবার শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে ক্লাব ছেড়েছেন জুয়েল, এমন অভিযোগ তুলেছে শেখ জামাল ক্লাব কর্তৃপক্ষ। যে কারণে তাকে তিনবার কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে। এরপরও ক্লাবে ফিরে আসেননি তিনি। অবশ্য ইতিমধ্যে চুক্তির অর্ধেকের বেশি পারিশ্রমিক বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে জুয়েলকে বলে জানিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।

এক মাস ধরে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান ক্লাবটির ম্যানেজার ফারাজ হোসেন। তিনি বলেন, ‘সে নানা অনিয়ম করেছে। যেটা একজন পেশাদার ফুটবলারের সঙ্গে যায় না। কোচ-ম্যানেজারের অনুমতি ছাড়াই ক্লাব ছেড়ে চলে যায় সে। এমনকি ঠিকমত অনুশীলনও করেনি। তার এমন আচরণে ক্লাবের কোচিং স্টাফ, অফিশিয়ালরা হতাশ। একজন ফুটবলার কখনো এমন আচরণ করতে পারে না। তাকে ফোন করলে কোনো সাড়া পাওয়া যায় না। তিনবার কারণ দর্শানোর চিঠি পাঠিয়েছি; কিন্তু তাতেও তেমন সাড়া দেয়নি। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তার বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেব। ’

গত অক্টোবরে প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতিতে যোগ দিলেও মাত্র সপ্তাহখানেক অনুশীলনের পর চোট পান জুয়েল। ক্লাবের চিকিৎসকের কাছে দুই দিন সেবা নিয়ে ক্লাবসংশ্লিষ্টদের অগোচরেই নিজ বাসায় ফিরে যান তিনি। এর কিছুদিন পর ক্যাম্পে ফিরে এলেও কারণে-অকারণে বিনা অনুমতিতেই ক্লাব ছেড়ে গেছেন জুয়েল। এ কারণে গত বছরের ৮ নভেম্বর তাকে প্রথম কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। সেই চিঠির উত্তরে ক্ষমা চেয়ে ক্লাবে ফিরলেও আবারও অনিয়ম করেন তিনি। তাতে ২৬ ডিসেম্বর দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয় তাকে। কিন্তু সেই চিঠির উত্তর না পাওয়ায় গত ২৬ জানুয়ারি তৃতীয় এবং চূড়ান্ত কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয় ক্লাবের পক্ষ থেকে।

উল্লেখ্য, ২০২০-২১ মৌসুমে বাংলাদেশ পুলিশের জার্সিতে আশাজাগানিয়া নৈপুণ্য দেখিয়েছিলেন জুয়েল। যার ফলে ডাক পেয়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলেও। গত বছর খেলেছেন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের হয়ে। পাঁচটি গোলের পাশাপাশি করেছিলেন এক অ্যাসিস্ট।

news24bd.tv/সাব্বির