হাইকোর্টে যাচ্ছেন হিরো আলম

সংগৃহীত ছবি

হাইকোর্টে যাচ্ছেন হিরো আলম

অনলাইন ডেস্ক

বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনে ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন হিরো আলম। নির্বাচনে ফল পাল্টে দেওয়ার অভিযোগে নিয়ে আদালতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এ জন্য তিনি বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বগুড়া জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে ওই আসনের ফলাফলের তালিকা সংগ্রহ করেছেন।  

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, আগামী রবি অথবা সোমবার উচ্চ আদালতে এ বিষয়ে মামলা দায়ের করবেন।

এ জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করেছেন।

হিরো আলম বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু হলেও ফলাফল সুষ্ঠু হয়নি। কারণ এমন কোনো কেন্দ্র নেই যেখান থেকে পাসের খবর পাইনি। কেন্দ্রে আমাদের যেসব এজেন্ট ছিল এলাকার লোক ছিল সবাই বলেছে আমি পাস করেছি।

কিন্তু যখন রেজাল্ট হলো তখন এসে আমি পাস করলাম না কেন? কিছু জায়গাতে আমাকে ২৭টা ভোট দেখানো হয়েছে, তাকে (বিজয়ী প্রার্থীকে) দেখানো হয়েছে ৫০০ ভোট। কিছু জায়গায় আমাকে দেখানো হয়েছে ২০টি, তাকে ৩০০। সবকিছু মিলে আমার সন্দেহ হইছে, এ কারণে এখানে এসেছিলাম কাগজপত্র তুলতে। এই কাগজ নিয়ে আমি হাইকোর্টে রিট করব। ’

সরাসরি কেন হাইকোর্টে যাবেন জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের যারা আছে তাদের ওপরে আমার কোনো আস্থাই নেই। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাদের ওপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে গেছে। আমি দু’বার নির্বাচনে দাঁড়ালাম, দুই বারই তারা প্রার্থিতা বাতিল করল। আমি হাইকোর্ট থেকে রায় নিয়ে এলাম। এবার এত সুন্দর পরিবেশে ভোট হয়েছে, এলাকার সবাই বলছে আমাকে ভোট দিয়েছে; তাহলে আমার সেই ভোট গেল কোথায়? তিনি প্রশ্ন তোলেন, যে মশালের কোনো নামগন্ধই ছিল না, সেই মশাল কোত্থেকে ধাম করে চলে এলো? ভোটের রেজাল্ট ঘোষণার আগেই সেখানে এক আওয়ামী লীগের নেতা বলেছেন, চিন্তা-ভাবনার কোনো কারণ নেই, মশাল পাস। খালি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বাকি। আমরা রেজাল্ট জানলামই না, উনি আগেই ডিক্লার দিয়ে দিলেন! নন্দীগ্রামে গণনা শেষই হয়নি, এরই মধ্যে দেখি বগুড়া থেকে ঘোষণা দিয়েছে মশাল মার্কা পাস! এরা কী করে জানল যে মশাল আগে থেকেই পাস? তাহলে আগে থেকেই চক্রান্ত ছিল। ’ 

তিনি দাবি করেন, ‘এই সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন আশাই করা যায় না। কারণ তারা আমার মতো লোকের সাথে ভোট করতে ভয় পায়। ফেয়ার নির্বাচন করতে সামান্য এক হিরো আলমকে দেখে ভয় পায়! এতেই বোঝা যাচ্ছে কতটা দুর্বল এরা। ’

হিরো আলম অভিযোগ করে বলেন, ‘ইভিএমের ভোটেও কারচুপি হয়। আমার খালা ভোট দিতে গিয়ে একতারায় টিপ দিছে আর নৌকা মার্কা ভেসে উঠছে। এই কথা অনেকেই বলছে, মারে একতারাত যায় নৌকাত। এই সিস্টেম করা যায়। ’ 

ভোটের সময় এই অভিযোগ না তোলার বিষয়ে হিরো আলম বলেন, ‘সাক্ষী-প্রমাণ ছাড়া তো কোনো কথা বলা যায় না। আজকে যখন আমার খালা এসে বলেছে তখনই বিশ্বাস করেছি। ’ 

এই রকম নির্বাচনের পরিবেশ থাকলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়ানোর কোনো প্রশ্নই ওঠে না বলে জানান হিরো আলম।

news24bd.tv/ইস্রাফিল