নামাজ ফরজ ইবাদত। এ ইবাদতের ভেতর এবং বাইরে কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো যথাযথভাবে আদায় করাও ফরজ। এর মধ্যে দুই রাকাআত পর পর বৈঠকে বসা। নামাজে দুই রাকাআত পর পর বসাকে তাশাহহুদ বলা হয়।
প্রত্যেক বৈঠকে তাশাহহুদ পড়তে হয়। তাশাহহুদ পড়া ওয়াজিব বা আবশ্যক। এই তাশাহহুদ বা দোয়া আত্তাহিয়্যাতুর পেছনে খুব সুন্দর একটি গল্প রয়েছে। তা জানা থাকলে দোয়াটি পড়তে মনোযোগ আরও বাড়বে।
আত্তাহিয়্যাতু হলো সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সঙ্গে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কথোপকথনের একটা অংশ। যা মহানবী (সাঃ) মিরাজ যাত্রার সময় হয়েছিল। মহানবী (সাঃ) যখন আল্লাহর সঙ্গে কথোপকথন শুরু করেন তখন আল্লাহকে আসসালামু আলাইকুম বলেননি। তাহলে কি বলেছিলেন?
কারণ আমরা মহান আল্লাহকে বলতে পারব না, আল্লাহ আপনার উপর শান্তি নাজিল হউক! আল্লাহ নিজেই একমাত্র পৃথিবীর সব শান্তির এবং রহমতের উৎপত্তিস্থল। ফলে মহানবী (সাঃ) আল্লাহকে উদেশ্য করে বলেছিলেন, ‘আত্তাহিয়্যা-তু লিল্লা-হি ওয়াছ ছালাওয়া-তু ওয়াত্ ত্বাইয়িবা-তু। ’ অর্থ হলো- যাবতীয় সম্মান, ইবাদত ও পবিত্রতা আল্লাহর জন্য।
এর জবাবে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আসসালা-মু'আলায়কা আইয়ুহান্নাবিয়ু ওয়া রহমাতুল্লা-হি ওয়া-বারাকাতুহু’। যার অর্থ হলো, ‘হে নবী, আপনার উপরে শান্তি বর্ষিত হউক এবং আল্লাহর অনুগ্রহ ও সমৃদ্ধি সমূহ নাযিল হউক। ’
এতে মহানবী (সাঃ) বলেন, আসসালা-মু-আলা্ইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লা-হিছ ছালেহীন। অর্থ হলো, আল্লাহর সমৃদ্ধি-শান্তি বর্ষিত হউক আমাদের উপর ও আল্লাহর সৎকর্মশীল বান্দাগণের উপর।
মহান আল্লাহ এবং মহানবী (সাঃ) এই কথোপকথন শুনে ফেরেস্তারা বলেন, আশহাদু আল লা-ইলাহা ইলল্লালাহু ওয়া আশহাদুআন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু। অর্থ : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সাঃ) তার বান্দা ও রাসূল। সুবহান-আল্লাহ।