মেদ কমানোর আছে যে উপায়

শরীরচর্চার সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত ডায়েট সহজেই কমাতে পারে ভুঁড়ি

মেদ কমানোর আছে যে উপায়

অনলাইন ডেস্ক

বাসা টু অফিস, অফিস টু বাসা, অফিস থেকে ফিরে বিছানা, এরপর ঘুম-এভাবেই চলছে আমাদের জীবন। যেন এটা দিনের পর দিনের রুটিন। অথচ আপনি কি জানেন, এক জায়গায় বসে বসে সারাদিন কাজ করা, ক্ষুধা লাগলে দ্রুত খাওয়ার জন্য ফাস্টফুডের ওপর ভরসা করা, কায়িক পরিশ্রম না করা বা ব্যয়াম-হাঁটাহাঁটি না করা- সব মিলিয়ে এসবে মারাত্বক ক্ষতি হচ্ছে দেহের। একই সঙ্গে বাড়ছে দেহের মেদ তথা মেদ ভুড়ি।

 

চিকিৎসকগণ অতিরিক্ত ওজন বা মেদবৃদ্ধির বিষয়ে বারবার সতর্ক করছেন। কারন, ওবেসিটি বা অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিস, রক্তচাপ থেকে হার্টের অসুখ- নানা ধরণের রোগ সহজেই থাবা বসাতে পারে যদি অনিয়ন্ত্রিত ভাবে মেদ বৃদ্ধি হয় শরীরে।  

কিন্তু সমস্যা হলো, অনেকে ওজন কমাতে পারলেও পেটের ভুঁড়ি কমাতে পারেন না। দেহের অন্যত্র মেদ ঝরে গেলেও পেটের মেদ সহজে ঝরে না।

বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, এক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে যদি মেপে খাওয়া-দাওয়া করা যায়। শরীরচর্চার সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত ডায়েট সহজেই কমাতে পারে ভুঁড়ি। কিন্তু কি খাবেন কি খাবেন না? এবার জেনে নিন সেসব তথ্য।

প্রচুর আঁশ জাতীয় খাবার খান
ফাইবার বা আঁশ জাতীয় খাবার দেহের বিপাকক্রিয়া বা হজমে বেশ সাহায্য করে। পাচনতন্ত্র সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। যে খাবার আমরা খাই, তা যাতে ঠিকমতো পাচন বা হজম হতে পারে। সেজন্য আঁশ জাতীয় খাবার হতে পারে বেস্ট অপশন। পাশাপাশি, রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে কাজ করে ডায়েটারি ফাইবার। ফলে উচ্চ-ফাইবার যুক্ত খাবার ওজন কমাতে পারে।

রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট নয়
রিফাইন্ড বা পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার শারীরবৃত্তীয় কাজের জন্য খুব একটা ভাল না। এতে খুব দ্রুত ওজন বৃদ্ধি হয়। যেমন ময়দা বা এসবে তৈরি করা লুচি-পরোটা, বিস্কুট, পাউরুটি, ব্রেড ইত্যাদি খাবার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব খাবার নিয়মিত খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে খিদে কমে যেতে পারে, ডায়াবেটিস হতে পারে ইত্যাদি। সুতরাং প্রতিদিন যাঁদের ময়দার তৈরি খাবার খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে, তারা ওজন বৃদ্ধির লাগাম টানতে ময়দার তৈরি খাবার একেবারে বাদ দিন।  

৪০-এর পর সাবধান হোন
বয়স ৪০ বা তার বেশি হয়ে গেলে আপনাকে সাবধান হতে হবে। সব খাবার খাওয়া চলবে না। কেননা, বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানবদেহের হজমের ক্ষমতাও কমতে থাকে। বিশেষ করে ৪০ পেরোলে অনিয়ন্ত্রিতভাবে খাওয়ার অভ্যাস ছেড়ে দেওয়া প্রয়োজন। কারণ সে সময় গ্রহণ করা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার হজমের শক্তি কমিয়ে দেয়।  

অল্প অল্প খাবার খান
ওজন কমাতে চাইলে ভরপেট খাওয়া চলবে না। অল্প অল্প পরিমাণে খেতে হবে এবং সেখানেও উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত খাবার রাখা চলবে না। তাহলে প্রয়োজনীয় ক্যালরি পেতে জমে থাকা ফ্যাট খরচ করবে দেহ। তাই, একসঙ্গে অনেকটা খাবার খাওয়ার বদলে, নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর অল্প অল্প করে খাবার খান। এমনটিই বলে থাকেন পুষ্টিবিদগণ।  

news24bd.tv/desk

এই রকম আরও টপিক