পাচারের ২০-২৫ শতাংশ ইয়াবাই পাকস্থলিতে বহন

সংগৃহীত ছবি

পাচারের ২০-২৫ শতাংশ ইয়াবাই পাকস্থলিতে বহন

মাসুদা লাবনী

গত কয়েক মাসে ইয়াবার যত চালান ধরা পড়েছে, তার ২০ থেকে ২৫ শতাংশই মানবদেহের পাকস্থলিতে বহন করা হয়েছে। আর এ কাজে নারী-পুরুষ উভয়ই জড়িত। মাদককারবারিরা এভাবে ইয়াবার চালান নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছাতে বেশি নিরাপদ মনে করে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এ তথ্য জানায়।

 

সম্প্রতি মানবদেহের পাকস্থলিতে করে ইয়াবা বহন বেড়েছে। একজন চোরাকারবারি ২ থেকে ৫ হাজার পিস ইয়াবা পেটে বহন করতে পারে। পাকস্থলিতে ইয়াবা যেন গলে না যায়, সে জন্য ৫০ থেকে ১০০ পিস স্কচটেপ দিয়ে পেঁচিয়ে ট্যাবলেটের মতো বানানো হয়। এরপর কলা বা জুসজাতীয় পানীয় দিয়ে এসব ট্যাবলেট গিলে খান বাহক।

পরে বিশেষ ওষুধ খেয়ে পেট থেকে বের করা হয় ইয়াবা।  

প্রতিনিয়ত ইয়াবার চালান ধরা পড়লেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে গডফাদাররা। তথ্য বলছে, ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে তিনটি পক্ষ। গডফাদার হয়ে মধ্য মাধ্যম, এরপর যাচ্ছে খুচরা ব্যবসায়ীদের হাতে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বলছে, প্রতিনিয়ত অভিযান হলেও আছে সীমাবদ্ধতা।  

গত তিন মাসে ১ লাখ ৬৩ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা উত্তর অঞ্চল। এর মধ্যে ৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার হয় বাহকের পেট থেকে। ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের তথ্য বলছে, গত ছয় মাসে জব্দ ৫ লাখ ইয়াবার বড় অংশই পেটে ক্যারি করছিল বহনকারী।

সংস্থাটি বলছে, বিষক্রিয়ায় মৃত্যুঝুঁকি জেনেও অর্থের লোভে এভাবে পাচারে নামছে মানুষ।  

news24bd.tv/ইস্রাফিল

এই রকম আরও টপিক