মিথ্যাচারের কারণে বিএনপিকে মানুষ বিশ্বাস করে না: মির্জা আজম

মিথ্যাচারের কারণে বিএনপিকে মানুষ বিশ্বাস করে না: মির্জা আজম

রেজাউল করিম মানিক, রংপুর

মিথ্যাচারের কারণে মানুষ এখন আর বিএনপিকে বিশ্বাস করে না বলে রংপুরে শান্তি সমাবেশে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি।

ফখরুল ইসলাম আলমগীর তিনি হলেন বিএনপির মহাসচিব প্রত্যেকদিন মিথ্যা কথা বলে এমনভাবে কথা বলে মনে হয় সত্য। এই মিথ্যার কারণেই মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে কারণ বিএনপির যিনি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সে তো রাজাকারের সন্তান।

শনিবার (৪ফেব্রুয়ারি) রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজনে দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াত জোটের নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস সৃষ্টির অপতৎপরতার বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাবা ১৯৭১ সালে পিস কমিটির নেতা ছিলেন। সে তো রাজাকারের সন্তান। তার বাবা ১৯৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকতে পারে নাই। তিনি ভারতে গিয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন কারণ মুক্তিযোদ্ধারা পেলে তাকে হত্যা করত।

আজকের বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ। এখন আমরা উন্নয়নের রোল মডেল আর এই রোল মডেলের রূপকার কে শেখ হাসিনা? তিনি কে? বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। যিনি (শেখ মুজিবুর রহমান) বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য নিজের জীবন যৌবনের ১৩/১৪ টি বছর কারাগারে কাটিয়েছেন।

মির্জা আজম বলেন, বিএনপি নেতারা বক্তব্য দেয় আওয়ামী লীগ নাকি গণতন্ত্র শেষ করে দিচ্ছে গণতন্ত্র নাকি একবারে ধ্বংস হয়ে গেছে তারা যে ২৭ দফা দিয়েছে। এই ২৭ দফা তারা শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়ে ক্ষমতায় গেলেই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে। ২৭ দফা বাস্তবায়ন করবে তারা এটার ঘোষণা দিল। ওই জিয়াউর রহমানের দল। যে জিয়াউর রহমান আমার নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছিলেন এবং বাংলাদেশকে একটি নৈরাজ্যের দেশে পরিণত করেছিলেন। এই জিয়াউর রহমানের উত্তরাধিকারেরা আজকে আমাদের গণতন্ত্র শেখাতে চায়। আরে দেশে তো আমরাই স্বৈরাচার এরশাদকে হটিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। কিন্তু আমরা কি দেখলাম সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে দেশের মানুষের গণতন্ত্রের অধিকার হরণ করে নেয় এবং এই বিএনপি নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসে। তাই শেখ হাসিনাকে হঠানোর বৃথা চেষ্টা না করে কাজ করেন। মানুষের জন্য কাজ করেন।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় এসে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন। বাংলাদেশকে ২১ সালের মধ্যে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করবেন। আমরা দেখেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১৪ বছর ক্ষমতায় থেকে তিনি ২১ সালের আগেই বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছেন। আমরা এখন দেখছি বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে আছে। প্রধানমন্ত্রী যখন ২০০৯ সালে শপথ করে ক্ষমতায় বসেন তখন দেশের মানুষের পার ক্যাপিটা ইনকাম ছিল মাত্র ৫৪০ ডলার। আমরা ছিলাম বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্রতম দেশ। নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছেন এখন আমরা উন্নয়নশীল দেশের দিকে ধাবিত হচ্ছি।

রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। কেন্দ্রীয় উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আবুল আওয়াল শামীম, কেন্দ্রীয় সদস্য এ্যাড. সফুরা বেগম রুমি।

সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি বলেন, তৃণমূল তৃণমূল হচ্ছে আওয়ামী লীগের মূল শক্তি তাই তৃণমূলের যারা নেতৃবৃন্দ আছেন তারা আওয়ামী লীগের প্রাণ এবং এই তৃণমূলের গর্জনেই আমরা ক্ষমতায় এসেছি আমাদের যারা আন্দোলনের ভয় দেখায় আমরা সে ভয় করি না আমরা তাদের বলতে চাই আওয়ামী লীগ শান্তিতে বিশ্বাস করে আমরা সব অবস্থানে বিশ্বাস করি বাংলার মাটি ও মানুষের মাঝে আওয়ামী লীগের জন্ম সেটি থাকবে।

আবারও তারা সমাবেশের নামে লোক হাসান ও শুরু করেছে এর আগে মহাসমাবেশ করেছে সেগুলো তাদের সমাবেশ হয়েছে আওয়ামী লীগ সমাবেশ করেছে সেগুলো মহাসমাবেশে পরিণত হয়েছে। দলকে এক ও অভিন্ন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দলের স্বার্থে সবাইকে এক সাথে চলতে হবে। কোনো বিভেদ তৈরি করা যাবে না।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেম, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক একেএম সায়াদত হোসেন বকুল,  যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মাজেদ আলী বাবুল, বিভাগীয় ক্রিড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।

news24bd.tv/তৌহিদ

এই রকম আরও টপিক