‘ক্রয়মূল্য পরিশোধ করলে নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে’

সংগৃহীত ছবি

‘ক্রয়মূল্য পরিশোধ করলে নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে’

অনলাইন ডেস্ক

ক্রয়মূল্য পরিশোধ করলে গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  তিনি বলেন, ক্রয়মূল্য দিতে পারলে সরকারের পক্ষে সবক্ষেত্রে গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব। ’ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে আগারগাঁওয়ে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা বিডার নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি।

আমাদের লক্ষ্যই ছিল প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেব। আমরা পৌঁছে দিয়েছি। জেনারেটরের ওপর যে ট্যাক্স ছিল, সেই ট্যাক্স আমি প্রত্যাহার করে নিয়েছি। শিল্প-কলকারখানায় যাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে, সেই ব্যবস্থাও করে দিয়েছি।
নিজেরা উৎপাদন করবেন, ব্যবহার করবেন এবং অন্যকেও দিতে পারবেন। ব্যবসা-বাণিজ্য যাতে ভালোভাবে চলে, যাতে বিনিয়োগ আসে সেই চেষ্টাই আমরা করি। ’  

এ সময় দেশে যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে সেখানে বিদেশি কোম্পানির পাশাপাশি দেশের ব্যবসায়ীদেরও বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘গত ১৪ বছরে আমরা দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করেছি। এখন আর হাওয়া ভবনে টাকা দিতে হয় না। বিদেশিদের পাশাপাশি আপনারাও (দেশের ব্যবসায়ী) বিনিয়োগ করুন। আমরা চাই, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হোক। ’ 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে তৃণমূলের মানুষ আমাদের সহায়ক। আমাদের যুব সমাজ দক্ষ। দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে আমরা যথাযথভাবে কাজ করছি। আমরা চাই, কৃষি খাতকে মাথায় রেখে ব্যবসায়ীরা উৎপাদন বাড়াক। ’  
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসি, ২৪ লাখ টন খাদ্য ঘাটতি ছিল। আমরা ২০০১ সালে ক্ষমতা থেকে যাওয়ার আগে খাদ্য ২৬ লাখ টন উদ্বৃত্ত  করে যাই। ’ 

তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতের সমস্যা ইনশাল্লাহ থাকবে না। বিদ্যুৎ এক ইউনিট উৎপাদনে আমাদের খরচ হয় ১২ টাকা, কিন্তু আমরা দিচ্ছি ৬ টাকায়। আমরা এ খাতে কেন ভর্তুকি দেব? আমরা ভর্তুকি দেব কৃষিতে। করোনা সংকটে প্রণোদনা দিয়েছি। ব্যবসা-বাণিজ্য যাতে ভালোভাবে চলে আমরা সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আজ বিশ্বজুড়ে মন্দ, এটা মাথায় রেখে চলতে হবে। করোনা, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, স্যাংশন-কাউন্টার স্যাংশনের কারণে বিশ্বে মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতেও আমরা উৎপাদন করে যাচ্ছি। গ্রাম পর্যায়ে এখন মানুষের যথেষ্ট উন্নতি হচ্ছে। আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। মাত্র ১৪ বছরে দেশ অনেক দূর এগিয়েছে। আমরা উন্নয়নশীল হতে পেরেছি। ’ 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ পারে, বাঙালি পারে। পদ্মাসেতু নিয়ে চ্যালেঞ্জ ছিল। দুর্নীতির প্রমাণ করতে পারেনি। কানাডার ফেডালের কোর্ট বলে দিয়েছিল সব ভুয়া, কোনো দুর্নীতি হয়নি। ওই সময় অনেকে আমাকে চেক পাঠিয়েছে-টাকা পাঠিয়েছে; বলেছে, আমরা আপনার পাশে আছি। বাংলাদেশ যে পারে তার প্রমাণ করেছি। ’ 

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরকে আগেই আন্তর্জাতিক করেছি। এখন কক্সবাজারকেও করে দিচ্ছি। এক এক করে যেসব দরকার সব করে দিচ্ছি। ’

news24bd.tv/ইস্রাফিল