মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর খরচ কমতে পারে

মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক

মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইঙ্গিত 

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর খরচ কমতে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুসন বিন ইসমাইল বলেছেন, ‘আমরা অভিবাসন ব্যয় কমিয়ে আনতে চাচ্ছি। আগামী দিনে দুই দেশের (বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া) প্রতিনিধিরা বসবেন, তারা রিভিউ করবেন যে সমঝোতা চুক্তিতে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন আছে কিনা। রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।  

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আগের করা সমঝোতা চুক্তি নিয়ে কথা বলেছি।

আজকের আলোচনার একটা বড় অংশ নিয়ে ছিল এই চুক্তি। মালয়েশিয়া সরকার প্রক্রিয়াকে সহজতর করতে চায় যাতে মূল লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়। মূল লক্ষ্য হচ্ছে, চাহিদা পূরণ করা, ব্যয় কমানো, বিদেশি কর্মীদের সম্মান রক্ষা করা। যদি বর্তমান প্রক্রিয়ায় সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো না যায়, আমরা পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত।
সে জন্য আমরা আলোচনায় বসব। ’ 

তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় বর্তমানে ১৫ লাখ বিদেশি কর্মী আছে। এর মধ্যে সাড়ে চার লাখ বাংলাদেশি কর্মী। এ কারণেই বাংলাদেশ ১৫টি সোর্স কান্ট্রির মধ্যে প্রথম স্থানে আছে। বাংলাদেশি কর্মীরা মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছে। ’ 

মালয়েশিয়ার মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আজকে দুটি ইস্যুতে ফলপ্রসূ আলাপ হয়েছে। প্রথমত রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম আরও দ্রুত করার বিষয়ে। দ্বিতীয়ত মালয়েশিয়া সরকার অভিবাসন ব্যয় কমাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ’ 

রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় অনেক অবৈধ কর্মী আছেন। তাদের একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে বৈধ করা হচ্ছে। গত ২৭ জানুয়ারি থেকে এই প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে। আমি জানতে চাই যে, এক সপ্তাহে বৈধকরণের যা অনুমোদন আমরা দিয়েছি তার ৫৫ শতাংশ বাংলাদেশি। আমি মন্ত্রী ইমরান আহমেদকে অনুরোধ জানিয়েছি সহযোগিতার জন্য, বাংলাদেশ যেন তাদের অংশটুকু পালন করে, যেন আমরা আমাদের কর্মীর চাহিদা পূরণ করতে পারি। ’ 

তিনি বলেন, ‘আমরা অনুমোদন দেওয়ার সময় কমিয়ে এনেছি। আগে ২০-৩০ দিন সময় নেওয়া হতো। এখন ২-৩ দিনে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। এটি একটি বড় নীতিগত পরিবর্তন। ’ 

এ সময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনসহ দুই দেশের ঊধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

news24bd.tv/ইস্রাফিল