সাতক্ষীরায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী রাবেয়া খাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে স্বামী রবিউল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২ টার সময় জনাকীর্ণ আদলতে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম,জি,আজম এই আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রবিউল ইসলাম (৩০) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রসুলপুর এলাকার বিল্লাল গাজীর ছেলে। মামলার এক নম্বর আসামি রবিউল ইসলামকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার নথির তথ্য মতে, ২০১৪ সালে যশোরের কেশবপুরের আগরহাটি এলাকার শহিদুল বিশ্বাসের মেয়ে রাবেয়া খাতুনকে (১৮) বিয়ে করেন আসামি রবিউল ইসলাম। বিয়ের পর থেকে দাবিকৃত এক লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য স্বামী রবিউল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা গৃহবধূ রাবেয়া খাতুনকে নির্যাতন চালাতে থাকে।
২০১৪ সালের ৬ জুন রাত ১১ টার দিকে স্বামী রবিউলের প্রতিবেশি আজিজ মিস্ত্রি মাধ্যমে রাবেয়ার পিতা শহিদুল বিশ্বাস জানতে পারেন তার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে ভোররাতে সাতক্ষীরা শহরের রসুলপুর আসেন। মেয়েকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত রাবেয়ার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। পিতা শহিদুল বিশ্বাস বাদী হয়ে ঘটনার পরের দিন সাতক্ষীরা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় জামাই রবিউলসহ ৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলা চলাকালে আদালত ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও অন্যান্য কাগজপত্র পর্যালোচনা করে বিচারক মামলার প্রধান আসামি রবিউল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। অপর চার জন আসামিকে বেকসুর খালাস দেন।
মামলার রাষ্ট্র্রপক্ষের স্পেশাল পিপি এড.জহুরুল হায়দার বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
