স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করল ইউপি সদস্য

প্রতীকী ছবি

স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করল ইউপি সদস্য

অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে (৩০) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সীতাকুণ্ড থানার এসআই হারুনুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রবিন চৌধুরী। তিনি সীতাকুণ্ড উপজেলার একটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্য।

ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।

পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ইউপি সদস্যের পরিত্যক্ত ঘরে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। ৯৯৯ এ খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুনুর রশিদ ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করেন। শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী নারীর বাড়ি নোয়াখালীতে। সীতাকুণ্ডে একটি ভাড়া বাসায় তিনি স্বামীকে নিয়ে থাকতেন। দুজনেই ওইখানকার একটি সুতা তৈরির কারখানায় চাকরি করেন।

ভুক্তভোগী নারীর খালাতো ভাই সুজন আহমেদ জানান, গত শনিবার রাত ১০টার দিকে তার বোন ও বোন-জামাই কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। পরে রাত সোয়া ১০টার দিকে তারা ইউপি সদস্য রবিন চৌধুরীর ব্যক্তিগত কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় চার-পাঁচজন লোককে সঙ্গে নিয়ে গতিরোধ করেন ইউপি সদস্য রবিন চৌধুরী।

তিনি আরও বলেন, প্রথমে তারা বোন-দুলাভাইয়ের মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে তাদের রবিনের পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় ইউপি সদস্য রবিন মাতাল অবস্থায় ছিলেন। রবিন ও সহযোগীরা বোন ও দুলাভাইকে মারধর শুরু করে। এ সময় বোনের গলায় থাকা সোনার চেন ও কানের দুল নিয়ে যায় তারা। রবিনের সহযোগীরা দুলাভাইকে একটি খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখে। পরে বোনকে ধর্ষণ করে রবিন।  

এ ঘটনার পর মুঠোফোন হাতে পেয়ে বোন ৯৯৯ এ ফোন করেন। খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

সীতাকুণ্ড থানার এসআই হারুনুর রশিদ জানান, শনিবার রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগী নারীকে একটি ঝুপড়িঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই সময় ভুক্তভোগী নারীর শরীরে ধর্ষণের লক্ষণ পাওয়া যায়। পরে তার শারীরিক পরীক্ষা জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।