ভূমিকম্পের সময় বেশির ভাগ মানুষ ছিলেন ঘুমন্ত, তাই বেড়েছে হতাহতের সংখ্যা

সংগৃহীত ছবি

ভূমিকম্পের সময় বেশির ভাগ মানুষ ছিলেন ঘুমন্ত, তাই বেড়েছে হতাহতের সংখ্যা

অনলাইন ডেস্ক

তুরস্ক ও সিরিয়ায় আজ সোমবার ভোরে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে পাঁচ শর বেশি। এতে দুইদেশের হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। অনেকে এখনো ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়ে রয়েছে।

স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত করে।

বেশিরভাগ মানুষ সে সময় ঘুমিয়ে ছিলেন তাই হতাহতের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। অনেক ভবন ধসে পড়েছে। ভবনের ধ্বংসস্তূপে অনেকে আটকা পড়েছেন। সাইপ্রাস ও মিশরেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, তুরস্কে দিয়ারবাকির শহরসহ ১০টি শহরে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। নিহতের সংখ্যা দ্রুত বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সিরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, সরকার নিয়ন্ত্রিত আলেপ্পো, লাতাকিয়া, হামা ও টারটাস প্রদেশে ২৩৭ জন নিহত হয়েছে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বলেছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। কর্মকর্তারা বলছেন, অন্তত এক শতাব্দীর মধ্যে এই অঞ্চলে আঘাত হানার সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প ছিল এটি।

এদিকে ভূমিকম্পে তুরস্কে শক্তশালী ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের প্রতি গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। একই সঙ্গে তিনি এই বিপর্যয় মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন।

ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে কীভাবে সহায়তা করা যায়, তা নিরূপণ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

হতাহতদের উদ্ধারে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল পাঠানোর কথা জানিয়েছে নেদারল্যান্ডস সরকার। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ডাচ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াপকে হোয়েকস্ট্রা জানিয়েছেন, নেদারল্যান্ডস ভূমিকম্পের প্রতিক্রিয়ায় সহায়তার জন্য তুরস্কে একটি অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল পাঠাবে।

তুরস্কে জরুরি সহায়তা পাঠানোর ইচ্ছার কথা জানিয়েছে ইসরায়েল। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োআভ গালান্ত বলেন, ‘প্রয়োজনীয় যেকোনো ধরনের সহায়তা দিতে নিরাপত্তা বাহিনী প্রস্তুত।

news24bd/আজিজ