বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আন্দোলনকে বহুমুখী করা হচ্ছে। সবাইকে আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে, দাবি আদায়ে আরও কার্যকর ভূমিকা সৃষ্টির পরিকল্পনা রয়েছে।
খসরু আরও বলেন, মানুষ এই সরকার থেকে মুক্তি চায়, সেজন্য সবাইকে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই সরকারকে তারা আর চায় না।
বিভাগীয় সমাবেশে মানুষ সকল বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে সফল করেছে। এবার পদযাত্রা কর্মসূচিকে মানুষের দুয়ারে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা চলছে।সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন জনগণের মালিকানা ফিরে পাবার, অধিকার ফিরে পাবার আন্দোলন। তাই জনগণকে সম্পৃক্ত করা জরুরি।
অভিযোগ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, সরকার নিজেরা সহিংসতা তৈরির চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগ চাইছে সহিংসতা করে, আগুন সন্ত্রাস করে বিএনপির আন্দোলন নস্যাৎ করে ক্ষমতা ধরে রাখার ষড়যন্ত্র করছে। আওয়ামী লীগ বিএনপির প্রথম ধাপের আন্দোলনে পরাজিত হয়েছে, তাই এখন নিজেরাই আগুন সন্ত্রাস, সহিংসতার চেষ্টা করছে।
আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, উন্নয়নের নামে লুটপাট করে বিদেশে পাচার করায় রিজার্ভে প্রভাব পড়েছে, বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে। পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকার নোট ছাপিয়েছে। লুটপাটের কারণে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়াতে বাধ্য হওয়ায় এখন দ্রব্যমূল্যের ওপর প্রভাব পড়েছে, সামনে আরও বাড়বে।
তিনি বলেন, নির্বাচন জনগণের হাতে নেই আর, ক্ষমতাসীনদের কাছে চলে গিয়েছে। দেশের তহবিল শেষ করায় ডলার বা ভর্তুকি কিছু দিতে পারছে না সরকার। আওয়ামী মডেলের অর্থনীতি চলছে শুধুমাত্র তাদের লোকদের সুবিধা দিতে।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, দেশের ভেতরের চাপের চেয়ে বিদেশিদের চাপ আরও বেড়েছে সরকারের ওপর। প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টিতে উদ্বেগ প্রকাশ করছে মানবাধিকার কমিশন। নির্বাচনে ভরাডুবির ভয়েই জোর করে মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। উদ্দেশ্য একটাই ক্ষমতা ধরে রাখার।
সরকারের জোর করে ক্ষমতায় থাকার বড় হাতিয়ার প্রোপাগান্ডা। যদিও এটি আর কাজ করবে না। সরকার যত মডেল-ই করুক কোনো লাভ হবে না, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই, বিএনপিরও কোনো আগ্রহ নেই- যোগ করেন তিনি।
news24bd.tv/FA