সমাজে এমন কিছু ব্যক্তি রয়েছেন যাদের শারীরিক গঠন দেখলে মনে হবে পুরুষ। অথচ তারা নিজেরা মনের মধ্যে নিজেকে নারী হিসেবে ধারণ করেন। একই অবস্থা অনেক নারীর ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। তেমনই দুজন হলেন জাহাদ পাভাল ও জিয়া পাভাল। খবর আনন্দবাজার।
রূপান্তরকারী এই স্বামী-স্ত্রী এখন তাদের প্রথম সন্তানের অপেক্ষায়। ২৩ বছর বয়সি জাহাদ রূপান্তরিত পুরুষ। ২১ বছর বয়সি রূপান্তরিত নারী জিয়া নিজেই ইনস্টাগ্রামে স্বামীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
তিন বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। দেখা হওয়ার পরেও তারা হরমোন থেরাপির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে তাদের মনে অভিভাবক হওয়ার ইচ্ছে জাগে। তাই কিছু দিনের জন্য তারা তাদের হরমোন থেরাপি বন্ধ রেখেছিলেন। শিশুর জন্মের পর আবার তারা হরমোন থেরাপি শুরু করবেন।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জিয়া বলেন, ‘বেশির ভাগ রূপান্তরকামীদেরই সমাজ বয়কট করে। অনেকের ক্ষেত্রে পরিবারের লোকজনও পাশে থাকেন না। আমরা প্রথম থেকেই একটি সন্তান চেয়েছিলাম, যাকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে পারি। আমাদের পরেও যাতে আমাদের অস্তিত্ব এই পৃথিবীতে থাকে। অনেক রূপান্তরকামীরা আমাদের মতোই বাবা-মা হতে চান। তবে সমাজের চোখরাঙানির ভয়ে, তারা সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। রূপান্তরকামীরাও সাধারণ নিয়মেই অভিভাবক হতে পারেন। সেই উদাহরণই সকলের সামনে তুলে ধরতে চেয়েছি আমরা। প্রথম দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও আইনি পথে নানা বাধা আসে। তার পরেই স্থির করি, সমাজের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে নিজেরাই বাবা-মা হব। ’
অভিভাবক হতে পেরে জাহাদ-জিয়া দু’জনেই বেজায় খুশি। তারা উপভোগ করছেন জীবনের এই নতুন পর্যায়। অন্তঃসত্ত্বাকালীন ফটোশুটও করেছেন এই যুগল। জিয়া ইনস্টাগ্রামে শেয়ারও করেছেন ছবিগুলো। ছবিগুলো সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে নানা মহলে।
নেটিজেনরা কেউ কেউ এই এই ফটো দেখে শুভেচ্ছা জানান রূপান্তরকামী যুগলকে। আবার অনেকে ফটোগুলো দেখে নিন্দার ঝড়ও তোলেন। তবে এগুলো তারা কানেই নিচ্ছেন না।
news24bd.tv/আলী