মাদকের কুফল বয়ান করায় খতিবকে মারধর করে চাঁদা আদায়!

সংগৃহীত ছবি

মাদকের কুফল বয়ান করায় খতিবকে মারধর করে চাঁদা আদায়!

অনলাইন ডেস্ক

জুমার নামাজের আগে গাজীপুর মহানগরের একটি মসজিদে মাদকের কুফল নিয়ে বয়ান করছিলেন খতিব মুফতি শফিকুল ইসলাম তালুকদার। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তার কক্ষে ঢুকে মারধরের এক পর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি মফিজুর রহমান টুটুল। সে আওয়ামী লীগের এক নেতার ভাই। গত ২৬ জানুয়ারি চান্দরা এলাকার আল আকসা জামে মসজিদে ওই ঘটনা ঘটলেও ভয় ও লজ্জায় ওই খতিব তা প্রকাশ করেননি।

তবে টুটুলের ভাই গাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মুকুলকে গ্রেপ্তারের পর রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি প্রকাশ পায়।

এ ঘটনায় ওই খতিব টুটুলকে প্রধান আসামি করে শুক্রবার গাছা থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। তবে চিহ্নিত ওই মাদক কারবারি পলাতক রয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, শফিকুল ইসলাম প্রতি শুক্রবারই জুমার নামাজের আগে মাদকের ভয়াবহতা নিয়ে মসজিদে বয়ান করে থাকেন।

 

খতিব মুফতি শফিকুল ইসলাম তালুকদার জানান, মাদকের বিরুদ্ধে কথা না বলার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিল টুটুল ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা। গত ২৬ জানুয়ারি টুটুলের নেতৃত্বে এলাকার মাদক কারবারিরা মসজিদের হুজরাখানায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঢুকে তার ওপর চড়াও হয়। এসময় তাকে মারধর ও বিবস্ত্র করে মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ভিডিও ধারণ করে।

তার বিবস্ত্র ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকাও আদায় করে। এর পর গত ৩১ জানুয়ারি তাকে মাদরাসা থেকে ডেকে বের করে রাস্তায় ফেলে দ্বিতীয় দফায় মারধর করে। অবশেষে ভয় ও লজ্জা ভেঙে স্থানীয় আলেম সমাজকে তিনি বিষয়টি অবহিত করেন। তিনি মসজিদের পাশে দারুল হাবিব নামে একটি মাদরাসাও পরিচালনা করেন।

গাছা থানার ওসি ইব্রাহিম হোসেন বলেন, মুকুলকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। প্রধান আসামি পলাতক রয়েছে।

news24bd.tv/আলী