বসুন্ধরার কম্বল পেয়ে খুশি কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা

বসুন্ধরার কম্বল পেয়ে খুশি কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতা কর্মী হনুফা খাতুন। অল্প টাকা বেতনে চাকরি করে সংসার চালাতে হিমশিম খান। এই শীতের মধ্যে তার জন্য কেউ সামান্য উপহার দেয়নি। বসুন্ধরা গ্রুপের কম্বল পেয়ে আবেগাপ্লুত হয় হনুফা খাতুন।

কম্বল পেয়ে তিনি এখন মহাখুশি।

হনুফা খাতুন বলেন, ‘যারা আমাকে এই শীতের মধ্যে কম্বল উপহার দিয়েছেন, আল্লাহ তাদের বেশি বেশি সহায়তা করার সামর্থ দিক’।

ময়মনসিংহের ত্রিশালে বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে কালের কন্ঠ শুভসংঘের সহায়তায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্বল নিতে এসে এভাবেই নিজেদের অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন পরিচ্ছন্নতা কমী, মালী, সুইপার ও অন্যান্য কর্মচারীরা।

আজ সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়ধনি মঞ্চের সামনে কম্বল বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. উজ্জল কুমার প্রধান, মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান রেজোয়ান আহমেদ শুভ্র, সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মিলন, আইন বিচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান নিউটন, ফোকলোর বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী উল্লাহ, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ মেহেদী হাছান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আসিফ ইকবাল আরিফ, ইইই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইন উদ্দিন, মানব সম্পদ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহা, কালের কণ্ঠ শুভসংঘের সভাপতি আসাদুজ্জামান নুর, সাধারণ সম্পাদক ইমরান আলী প্রমূখ।

ফোকলোর বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মেহেদী উল্লাহ বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নয়, আর্তমানবতার সেবার অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশে সুনাম অর্জন করেছে। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করে নিজেদের উচ্চতর স্থানে নিয়ে গেছে। ’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ লাখ লাখ বেকারের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি করোনা মহামারী, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোজা, শীতের মধ্যেও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তা দিয়ে থাকে। আমি মনে করি, অন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান যদি এভাবে এগিয়ে আসতো তাহলে দেশের অসহায় মানুষজন অনেকটা স্বাবলম্বী হতে পারতো। ’