খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের বিরুদ্ধে নিয়ম বহির্ভূতভাবে শিক্ষক নিয়োগ অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) তদন্ত কাজে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) একটি টিম খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার খান গোলাম কুদ্দুস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ২০২২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে ইউজিসির চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে খুবিতে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্তে চিঠি দেয়া হয়।
তদন্ত টিমে সভাপতি করা হয়েছে কুয়েটের ইইই বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. বাসুদেব চন্দ্র ঘোষ। এছাড়া সদস্য হিসেবে রয়েছেন ইউজিসি’র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. ফজলুর রহমান ও ইউজিসির ইন্সপেকশন ও মনিটরিং শাখার সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. গোলাম দস্তগীর।
উল্লেখ্য, খুবিতে আইন ডিসিপ্লিনে (বিভাগ) ওয়ালিউল হাসনাত নামের একজন অধ্যাপকের নিয়োগে দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ ওঠে। ওয়ালিউল হাসনাত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি তাকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ২০১২ সালে খুবির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান অধ্যাপক মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। ২০১৩ সালে ১০ জানুয়ারি তিনি পূর্ণ উপাচার্যের দায়িত্ব পান। সেখান থেকে পরপর দুই মেয়াদে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করে ২০২১ সালের ২৯ জানুয়ারি মেয়াদ শেষ করেন। তার দ্বিতীয় মেয়াদে দুর্নীতি ও স্বজন প্রীতির মাধ্যমে নিয়োগের অভিযোগ ওঠে।
তদন্তকালীন সময়ে দালিলিক প্রমাণাদিসহ অভিযোগপত্র দেওয়া বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে উপস্থিত রাখার জন্য বলা হয়েছে।