থানায় ঢুকে নারী কনস্টেবলকে ধর্ষণ!

নারী কনস্টেবলকে গণধর্ষণ! প্রতীকী ছবি।

থানায় ঢুকে নারী কনস্টেবলকে ধর্ষণ!

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

পুলিশের পোশাককেও ভয় করি না- এমন কথাই বোধ হয় প্রমাণ করতে চেয়েছিল দুই দুর্বৃত্ত। আর তাই থানায় ঢুকে ছুরি দেখিয়ে ধর্ষণ করলো নারী হেড কনস্টেবলকে। সেই সঙ্গে বলে গেল- এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে।

এ ঘটনার পর নির্যাতিতা নারী পুলিশ কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না।

কারণ, ধর্ষণকারীদের একজন গত চার বছর ধরেই তাকে 'ধর্ষণ' করছে। প্রতিবারই প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ভয়ে ও লজ্জায় কাউকে কিছু বলেননি। তবে এতদিন বাইরে ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও এবার থানার মধ্যেই এ ঘটনা ঘটলো।
অবশেষে থানায় মামলা করলেন ওই নারী কনস্টেবল।

আরও পড়ুন: বাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলে ট্রাকে তুলে পালাক্রমে ধর্ষণ

 

নির্যাতিতা পুলিশ কনস্টেবলের অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত দুজনকে হন্যে হয়ে খুঁজছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। নির্যাতিতার মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। আর এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের হরিয়ানার পালওয়ালে।

আরও পড়ুন: ভিডিওর ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে ১ বছর ধরে ধর্ষণ!

সেই পুলিশ স্টেশন ইনচার্জ কমলা দেবী বলেন, নির্যাতিতা তার জবানবন্দিতে জানিয়েছেন- ২০১৪ সালে তিনি যখন মহেন্দ্রগড়ে কর্তব্যরত ছিলেন তখন যোগেন্দ্র মিন্টো নামের একজনের সঙ্গে পরিচয় হয়। অলভলপুরের বাসিন্দা যোগেন্দ্র মিন্টো গত চার বছর ধরে তাঁকে ধর্ষণ করেছে। এ ব্যাপারে বার বার মুখ খুলতে গিয়েও ভয়ে চুপসে গেছেন। কাউকে জানালে বার বার প্রাণে মারার হুমকি দেয় যোগেন্দ্র। এক পর্যায়ে তাঁর পরিবারের লোকেদেরও হেনস্থা করা শুরু করে যোগেন্দ্র মিন্টো।  

এরপর সম্প্রতি পালওয়ালে বদলি হয়ে আসেন নির্যাতিতা কনস্টেবল। ধারণা ছিল- সেই নির্যাতন থেকে এবার মুক্তি মিলবে। আসার পর অনেকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেন যোগেন্দ্র। কিন্তু, ওই নারী কনস্টেবল যোগেন্দ্রর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি। এরপরই ঘটে এমন ঘটনা। থানার মধ্যেই ধর্ষণ করা হয় তাকে। এবার শুধু যোগেন্দ্রই নয়, ছুরি দেখিয়ে তার ভাই তোশরাজও তাঁকে ধর্ষণ করে, আর তা থানার মধ্যেই। এর পরেই অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা।

আরও পড়ুন: ‘রাত ১টায় রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে ডাক্তার মাহী’

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর