'ছোটবেলায় বাবার কাছেই কৃষির হাতেখড়ি'
'ছোটবেলায় বাবার কাছেই কৃষির হাতেখড়ি'

সংগৃহীত ছবি

'ছোটবেলায় বাবার কাছেই কৃষির হাতেখড়ি'

অনলাইন ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ছোটবেলায় বাবার কাছেই কৃষির হাতেখড়ি। তিনিই আমাদের সব ভাই-বোনকে কৃষি অনুশীলনের সুযোগ করে দিতেন। পরবর্তীতে দেশের রাজনীতির সঙ্গে যখন সরাসরি সম্পৃক্ত হলাম, তখনো গ্রামের হতদরিদ্র মানুষ নিয়ে কাজ করেছি, দেখেছি তাদের দুঃখ-দুর্দশা। আমাদের দেশের অর্থনীতির ভিতই তো কৃষির ওপরে।

অন্যদিকে জনসংখ্যাও বেশি। সেটা বিচার করে কৃষির ওপর জোর দিতেই হয় সব সময়। ’ 

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমাদের জমি এত উর্বর, একটু চেষ্টা করলেই আমরা আমাদের উৎপাদন আরো বাড়াতে পারি। ’

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের পরিচালক, কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজকে দেওয়া দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ নিয়ে ‘শেখ হাসিনার ফসলি উঠোন : গণভবনে বাংলার মুখ’ শীর্ষক একটি প্রামাণ্য প্রতিবেদন আগামী শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় চ্যানেল আইয়ের ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠানে প্রচার করা হবে।

বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার কথা বলছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণের কথা বলছে। এই অগ্রযাত্রায় দরকার গ্রামীণ জনজীবনের অর্থনৈতিক উন্নতি, দরকার খাদ্য নিরাপত্তাসহ কৃষকের উন্নতি, কৃষির উন্নতি। এই লক্ষ্য পূরণ করতে পারলেই আগামীর অর্থনৈতিক বুনিয়াদকে শক্তিশালী রাখা যাবে।

এই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু অনুধাবন করেননি, নীতিনির্ধারণীর মাধ্যমে আপামর জনসাধারণের ওপর নির্দেশ দিয়ে বসেও থাকেননি। তিনি নিজে চ্যালেঞ্জটি নিয়েছেন, সরকারি বাসভবন গণভবনের ভেতরের জায়গাকে কৃষিকাজে ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছেন। দেশের কোন অঞ্চলে কোন ধরনের ফসল ফলানোর উপায় কী বা কেমন-তা হাতে-কলমে দেখার তাগিদ অনুধাবন করেছেন। আজকের দিনে গোটা পৃথিবীর কাছে খাদ্য নিরাপত্তার যে চ্যালেঞ্জ তা মাথায় রেখে দেশের জনগণের খাদ্য চাহিদা পূরণের জন্য খাদ্য ফসল উৎপাদন প্রক্রিয়াটি গবেষণার মতো করে দেখে তা মানুষের কল্যাণে পৌঁছে দিতে চাইছেন। এ জন্য একজন সরকারপ্রধান হয়েও কৃষি অনুশীলনে নেমেছেন। মাটি ও ফসলের সংস্পর্শে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন।

প্রধানমন্ত্রী এই সম্পৃক্ততার বিষয়টি ‘শেখ হাসিনার ফসলি উঠোন : গণভবনে বাংলার মুখ’ শীর্ষক প্রামাণ্য প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

অনুষ্ঠান সম্পর্কে শাইখ সিরাজ এক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন এক ইঞ্চি জমিও খালি রাখা যাবে না। সেটা তিনি করে দেখিয়েছেন। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় করণীয় বিষয়ে গবেষণা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন। স্মার্ট কৃষিকে এগিয়ে নিতে হলে কৃষিতে আরো উন্নত প্রযুক্তি বাড়ানোর বিষয়ে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবনে বহুমুখী কৃষি উৎপাদনের যে দৃষ্টান্ত গড়েছেন, তা দেশের মানুষের জন্য শিক্ষণীয়। তাঁকে দেখে দেশের মানুষ আরো অনেক বেশি উৎসাহিত হবে কৃষিতে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজ বাসভবনে কৃষিকাজের এমন নজির বিশ্বে আছে কি না আমার জানা নেই। ’