জুয়েলারি শিল্পে বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় সম্ভব

সংগৃহীত ছবি

জুয়েলারি শিল্পে বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় সম্ভব

অনলাইন ডেস্ক

গয়না নারীর স্মৃতি প্রকাশ করে। ইতিহাস মনে করিয়ে দেয়। এখন থেকে এই শিল্পে মনোযোগ দিলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় করা সম্ভব। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) নবরাত্রি হলে জুয়েলারি শিল্পের সবচেয়ে বড় মেলা বাজুস ফেয়ার-২০২৩ উদ্বোধন করা হয়।

মেলায় ‘সেলিব্রিটিদের গহনা ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনাসভায় উপস্থিত বক্তারা এসব কথা বলেন।

এদিন সকালে মেলার উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের রপ্তানির ৮৫ শতাংশ গার্মেন্টের ওপর নির্ভরশীল। এটি দেশের জন্য বেশি স্বস্তিদায়ক নয়।

এ জন্য আমাদের বাণিজ্যকে বহুমুখীকরণ করা দরকার। রপ্তানি বহুমুখীকরণ দরকার। এ ক্ষেত্রে আমরা এখন যেমন আইসিটির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি, এই জুয়েলারিশিল্পও একটি বড় শিল্প হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ আমাদের দেশে ভালো কারিগর আছে। কিন্তু এখন জুয়েলারিশিল্প কারিগরনির্ভর নয়। তাদের দক্ষতার সঙ্গে যদি যান্ত্রিক কৌশল যোগ করা হয়, তাহলে জুয়েলারিশিল্প থেকেই আমরা বিরাট অঙ্ক রপ্তানি করতে পারব। ’

তিনি আরও বলেন, এখন থেকে যদি মনোযোগ দেওয়া হয়, তাহলে কয়েক বিলিয়ন ডলারের জুয়েলারি রপ্তানি করা সম্ভব।

একই অনুষ্ঠানে অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন বলেন, ‘গ্রামগঞ্জ থেকে শুরু করে শহরের নারীদের কাছে গহনা মানে অনেক বড় সম্পদ। অনেক বড় অহংকার। তারা যখন কোনো কারণে প্রতিবাদ করতে চায়, তখন তারা মায়ের দেওয়া গহনার ওপর দাবি রেখে প্রতিবাদ করতে পারে। তারা বলতে পারে, আমার বাবার দেওয়া গহনা দিয়ে একটা খামার করতে পারব। ’

অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস বলেন, ‘গহনা নিয়ে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের ভাবনাই বেশি। আমি গহনার অনেক পাগল। প্রতিটি পুরুষ যখন থেমে যায়, তখন নারীর কাছে এসে বলে সামনে এগিয়ে যাব; তখন তখন নারী বলে, আমার এই গহনাটুকুই তোমার জীবনের পথচলা। ’

পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘তখন স্বর্ণ আবিষ্কার হয়নি। একটি মেয়ে তার কানে ফুল ঝুলিয়েছে। কী কারণে? বা নাকে একটি অন্য ফুল লাগিয়েছে বা গলায় একটি ফুলের মালা পরেছে, কী কারণে? সে পুরুষকে বোঝাতে চেয়েছে, দেখো আমার কান কী সুন্দর, দেখো আমার নাক কী সুন্দর, দেখো আমার গলা কী সুন্দর। আসলে গহনার প্রচলন হয়েছিল এসব কারণেই। নিজেকে দেখাবার জন্য। এবং পুরুষরাও ঠিক এই কাজটা করতেন। ’

বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, ‘এখন জুয়েলারিশিল্পে বড় পরিসরে সারা দেশে একটা জাগরণ তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ গহনা উৎপাদন করতে যাচ্ছে, এটা কিন্তু বড় ঘটনা। গোল্ডের গায়ে লেখা থাকবে, মেড ইন বাংলাদেশ। এটা একটা ব্র্যান্ড। ’

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি, জাহারা মিতু, নিপুণ, কেয়া, ববি, কোনাল প্রমুখ।