সাতক্ষীরায় ইউপি চেয়ারম্যান হত্যা: গ্রেপ্তার ২

ইউপি চেয়ারম্যান কেএম মোশাররফ হোসেন।

সাতক্ষীরায় ইউপি চেয়ারম্যান হত্যা: গ্রেপ্তার ২

শাকিলা ইসলাম জুঁই, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান কেএম মোশাররফ হোসেন সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। নিহত চেয়ারম্যানের মেয়ে সাদিয়া ইসলাম বাদী হয়ে রোববার রাতে মামলটি দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

এদিকে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে পুলিশ এজাহারভূক্ত দুইজনকে আটক করেছে।

আটকরা হলেন- মোজাফফর হোসেন ও লাল্টু।

কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান কেএম মোশাররফ হোসেন সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় চেয়ারম্যানের মেয়ে সাদিয়া ইসলাম বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এক নম্বর আসামি স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল গাইন।

বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ওসি আরও জানান, হত্যার নেপথ্য কারণ নির্ণয়ে পুলিশ মাঠে নেমেছে। স্থানীয় সাপখালি খাল উন্মুক্ত করা নিয়ে তার সঙ্গে বিরোধ রয়েছে অনেকের। তার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবদুল জলিলের সঙ্গে চরম বিরোধ চলছিল চেয়ারম্যানের। সম্প্রতি আবদুল জলিল বেশ কয়েকজন লোককে সঙ্গে নিয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে বলেন ‘চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন দক্ষিণ রঘুনাথপুর গ্রামের আবু মালাইকার বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর ও লুটপাট করেন। তিনি এলাকার লোকজন জমি ও বাড়ি দখল করছেন’।

এ ছাড়া সম্প্রতি স্থানীয় মহসীন ডাকাতকে কে বা কারা কৃষ্ণনগর বাজারে কুপিয়ে জখম করে। মহসীন ডাকাত চেয়ারম্যান মোশাররফ বিরোধী লোক। এসব বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত কাজ চলছে বলে জানান ওসি।

উল্লেখ্য শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কৃষ্ণনগর বাজারে যুবলীগ অফিসে বসেছিলেন চেয়ারম্যান কেএম মোশারফ হোসেন। এ সময় পাঁচ-ছয়জন যুবক তিনটি মোটরসাইকেলে এসে বাজারে কয়েকটি ককটেল বোমা ফাটায়। এতে আতঙ্কিত হয়ে দোকানপাট বন্ধ হবার সুযোগে সন্ত্রাসীরা যুবলীগ অফিসে ঢুকে চেয়ারম্যানের গালে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে। এরপর তারা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। পরে কালিগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/জুঁই/তৌহিদ)