নারীদের অন্তর্বাস বা প্যান্টিতে থাকে ছোট্ট একটি অংশ, যা অনেকটাই পকেটের মত দেখতে। ছোট্ট এই অংশটিকে বলা হয় ‘গাসেট’। অনেকেই জানতে চান, নারীর অন্তর্বাসের ভেতর এইজাতীয় পকেট থাকে কেন? আসল তথ্য হলো, অন্তর্বাসের গোপন পকেট আসলে পকেট হিসাবে কাজ করে না। জেনে নিন কারণগুলো।
- মূলত নারীর যৌন স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য প্যান্টিতে তৈরি করা হয় পকেটের মত অংশ এই ‘গাসেট’। কেননা, নারীর গোপনাঙ্গ খুব সেনসেটিভ একটি অংশ, যেখানে খুব তাড়াতাড়ি সংক্রমণ ঘটাতে পারে। তাই অন্তর্বাস এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে পরলে কোনও অস্বস্তি না হয় এবং স্বাস্থ্যের ওপর কোনও খারাপ প্রভাব না পড়ে।
- অন্তর্বাসের নীচে একটি পৃথক কাপড় প্রয়োগ করা হয় যা আর্দ্রতাকে আরও শোষণ করে।
- যৌনাঙ্গ ও পারিপার্শ্বিক অঞ্চলে ঘাম, আর্দ্রতা, অন্যান্য গ্রন্থির ক্ষরণ ও ময়লার মতো পদার্থ জমা খুব স্বাভাবিক। আর ময়লাতেই জন্ম নেয় ব্যাকটেরিয়া। প্যান্টিতে থাকা গাসেট-এর মত অংশ আর্দ্রতা শোষণ করে, বায়ু চলাচল করতে দেয়। ফলে জীবাণুর সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকটাই কমে।
- শুধু নারীদের নয়, খেয়াল করলে দেখবেন, পুরুষদের অন্তর্বাসেও এমন কাপড় থাকে। এই কাপড় আর্দ্রতা শোষণ করে বলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। অন্যদিকে, সিনথেটিক দিয়ে তৈরি আন্ডারওয়্যার কাপড় ও ত্বকের মধ্যে ঘর্ষণ কমায় না। ফলে ক্ষত হওয়ার আশঙ্কা যেমন বাড়ে, তেমনি গোপনাঙ্গের আর্দ্রতাও দ্রুত নষ্ট হয় না, যা ত্বকের সমস্যার আশঙ্কা বাড়ায়।
- অনেক সময় এসব অন্তর্বাসে তুলার পকেটের মতো কাপড় প্রয়োগ করা হয়। পুরুষদের অন্তর্বাসেও কখনও কখনও পি-হোলের ওপর একটি আলাদা কাপড় থাকে। এটি গোপনাঙ্গকে আরাম দেয় এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
- অন্তর্বাসের বাকি অংশ নানা কৃত্রিম উপাদানে তৈরি হলেও এই গাসেট তৈরি হয় সুতি, তুলো বা এমন ফ্যাব্রিক কাপড় দিয়ে যার ভেতর দিয়ে সহজেই বাতাস চলাচল করতে পারে। ফলে অন্তর্বাসের কৃত্রিম উপাদানের সঙ্গে ঘর্ষণের ফলে যৌনাঙ্গে ক্ষত তৈরি হওয়ার ঝুঁকি কমে।
news24bd.tv/desk