প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন, বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ যেকোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা আত্মনিবেদিত ও সদা তৎপর। রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪৩তম জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংক্রমণের শুরুতেই মৃত্যু ঝুঁকি উপেক্ষা করে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম, মাস্ক ও লিফলেট বিতরণ, শ্রমিক সংকটকালে কৃষকের ফসল ঘরে তোলা, ত্রাণ বিতরণ এবং হাসপাতালে আগত রোগীদের সহায়তা করাসহ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে নিবন্ধন কার্যক্রমে সহযোগিতা ও কোভিড-১৯ বিশেষায়িত হাসপাতালে দায়িত্ব পালনে এ বাহিনীর সদস্যদের সাহসী উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। ’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪৩তম জাতীয় সমাবেশ-২০২৩ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর রয়েছে এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ বাহিনীর সদস্যরা মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার এ বাহিনীর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাহিনীর সদস্যদের জন্য নতুন পোশাক প্রবর্তন, পারিবারিক রেশন প্রদান, সাধারণ আনসারের রেশন সামগ্রীর পরিমাণ বৃদ্ধি, সাহসিকতা ও সেবামূলক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ রাষ্ট্রীয় পদক প্রবর্তন, কর্মকর্তাদের জন্য বিভিন্ন গ্রেডে নতুন পদ সৃজন, টিআইদের পদোন্নতি এবং কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ব্যাটালিয়ন সদস্যদের বৈদেশিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও একটি বিশেষায়িত গার্ড ব্যাটালিয়নসহ নতুন আনসার ব্যাটালিয়ন গঠন, ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যদের স্থায়ীকরণের মেয়াদ হ্রাস এবং আনসার ব্যাটালিয়নের তিনটি পদবির বেতন গ্রেডের ধাপ উন্নীত করা হয়েছে। বাহিনীর অবকাঠামোসহ সর্বক্ষেত্রে আধুনিকায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে রেঞ্জ, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ভবন নির্মাণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ’
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিটি সদস্য দেশপ্রেম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বাহিনীর সুনাম, ঐতিহ্য ও মর্যাদা অক্ষুণ্ন রেখে দেশ ও জাতির শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও সার্বিক আর্থসামাজিক উন্নয়নে আরো অবদান রেখে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। ’
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪৩তম জাতীয় সমাবেশ-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।
news24bd.tv/ইস্রাফিল